পাটগ্রাম থানায় হামলা,সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিলো দুর্বৃত্তরা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:০৪ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৫


পাটগ্রাম থানায় হামলা,সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিলো দুর্বৃত্তরা
ছবি: প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পাথরবাহী ট্রাক থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে বুধবার রাতে দুইজনকে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। 


বুধবার (২ জুলাই) রাত সোয়া ১১ টায় পাটগ্রাম থানায় ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে আসামিদেরকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 


আরও পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে আবারো পুশইন চেষ্টা, বাধা বিজিবি ও এলাকাবাসী

 

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ‘দুস্কৃতিকারিরা’ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম।  


এ ঘটনায় পাটগ্রামের পাথর মহলের ইজারাদার মাহমুদ হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি দাবি করেন ইউএনও উত্তম কুমার দাস থানা ও ওসি মিজানুর রহমান আমাদের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ০২ জুলাই চেকিং পয়েন্ট থেকে দুইজন কোয়ারি কর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। ঘটনা জানতে এদিন রাতে থানায় গেলে থানার ওসি ইজারাদার বাদশা জাহাঙ্গীর চপল ও আমাকে শারিরীকভাবে আহত করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ী মহলের লোকজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা থানার সামনে জড়ো হয়। এ সময় থানার ওসির নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে ১৭ জন আহত হয়। 


ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ জানান, ‘পাথর কোয়ারির ইজারাশর্ত ভঙ্গ করে ইজারাদারদের পক্ষে মহাসড়কে চলাচলকারি পাথরবাহী ট্রাক থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে- এমন অভিযোগে উপজেলার সরেও'র বাজার এলাকা থেকে রাতে সোহেল রানা ও বেলাল হোসেন নামের দুজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।‘

 

পাটগ্রাম থানা-পুলিশ জানায়, ‘ওই দুজনকে থানায় নিয়ে আসার পরপরই কয়েকশ মানুষ থানায় হামলা চালায়। হামলায় থানার বিভিন্ন কক্ষ তছনছ করা হয়। এসময় বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার, জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ভ্যান ভাঙচুর করে সেখানে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত ওই দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।‘ 


আরও পড়ুন: ট্রেন চালুর দাবিতে লালমনিরহাটে সড়ক অবরোধ


এ ঘটনায় পাশের হাতীবান্ধা থানা ও বড়খাতা হাইওয়ে থানা থেকে পাটগ্রামে পুলিশ পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও স্থানীয়দের বাঁধায় তা সম্ভব হয়নি। পরে পাটগ্রামে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।


বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার, পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পাটগ্রাম থানা পরিদর্শন করেন।



এসডি/