কৃষি সম্প্রসারণে অকেজো গাড়ির ভাগাড়


Janobani

মো. রুবেল হোসেন

প্রকাশ: ০১:১০ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৫


কৃষি সম্প্রসারণে অকেজো গাড়ির ভাগাড়
রুবেল হোসেন

রাজধানীর কৃষি খামার সড়কে অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যেন অকেজো গাড়ির ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। অধিদপ্তরটির ভেতরে যত্রতত্র পড়ে আছে ভাঙাচোরা ও অচল গাড়ি।


চারদিকে সীমানা প্রাচীর। মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে সারি সারি পুরোনো যানবাহনের স্তূপ। এখানে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, জিপ, পিকআপসহ বিভিন্ন মডেলের গাড়ি।


তথ্য অনুযায়ী, অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে মোট ১২১টি গাড়ি নষ্ট বা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে ল্যান্ড রোভার ১টি, কার ১০টি, মাইক্রোবাস ১৪টি, জিপ ৪৩টি, মিনি জিপ ৪টি, পিকআপ ২৯টি, মিনিবাস ৬টি, ট্রাক ১১টি, মিনি ট্রাক ১টি এবং মোটরকার ২টি।


সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব ব্যবহার অনুপযোগী গাড়ি খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে পড়ে থেকে মরিচা ধরে ক্ষয়ে গেছে। গাড়িগুলোর ভেতর ও বাইরের যন্ত্রাংশ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এখন এগুলোর কোনো যন্ত্রাংশই আর ব্যবহার উপযোগী নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


কৃষি সম্প্রসারণে কর্মরত একাধিক গাড়িচালকের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, নষ্ট গাড়িগুলোর কারণে বর্তমানে চালু গাড়িগুলো পার্ক করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় ভালো গাড়িও দুর্ঘটনার শিকার হয়।


জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী এসব অকেজো গাড়ি নিলামের মাধ্যমে বিক্রির সুযোগ থাকলেও বছরের পর বছর তা ফেলে রাখা হয়েছে। একটি চক্র নতুন কোনো গাড়ি নষ্ট হলে পুরোনো অকেজো গাড়ি থেকে যন্ত্রাংশ খুলে প্রতিস্থাপন করে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করছে। ফলে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাষ্ট্র।


কর্মকর্তারা জানান, সময়মতো নিলাম হলে সরকারের কোষাগারে মোটা অঙ্কের অর্থ জমা পড়ত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিলাম না হওয়ায় গাড়িগুলো জঙ্গল-ঝোপে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। গাড়ির ভেতরে বাসা বেঁধেছে ইঁদুর, পোকামাকড়। এতে পরিবেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


দেশের কৃষি খাত উন্নয়নে কাজ করা সর্ববৃহৎ এই সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল। এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক কৃষিবিদ ছাইফুল আলমের অফিসে গিয়ে একের অধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


এসডি/