চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির পথসভায় সংগঠনের আহবায়ক নাহিদ ইসলাম
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৪০ অপরাহ্ন, ১০ই জুলাই ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় এক পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ১৬ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে। তিনি বলেন, “একটি রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতন হয়েছিল, যেখানে শেখ হাসিনা নিজেই মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি চালানোর আদেশ দিয়েছিলেন।”
চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এখন আর শুধু সীমান্তরক্ষী নয়, খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গাসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত ৫৪ বছর ধরে মানুষ হত্যা চলছে। মাত্র ৭ দিন আগে চুয়াডাঙ্গায় বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত হন, যার লাশ ৭ দিন পর ফেরত দেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনা সরকার ভারতের সঙ্গে চুক্তির নামে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, মানবিক মর্যাদা ও স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে। পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “ভারত যদি বাংলাদেশে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তাহলে তা হতে হবে সমতা, ন্যায্যতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ ভারতের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং ভারতই বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল।”
নাহিদ ইসলাম বলেন, “বিচার, সংস্কার, একটি নতুন সংবিধান এবং ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। এই মুজিববাদী ফ্যাসিস্ট দল আর এ দেশে থাকতে পারবে না। আসতে হলে আমাদের বুকের উপর দিয়েই আসতে হবে।”
তিনি ছাত্র ও যুব সমাজকে দেশের স্বার্থ রক্ষায় রাজপথে নামার আহ্বান জানান এবং বলেন, “দেশের সীমান্ত, মাটি ও মানচিত্রকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন তরুণদের হাতে। জাতীয় নাগরিক পার্টি সেই দায়িত্ব নিয়েই কাজ করছে।”
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা ফারুক আহসান, ডা. মাহমুদা আলম মিতু। সঞ্চালনায় ছিলেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব আকতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার নেতৃবৃন্দ।
এর আগে জেলার আলমডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত আরেক পথসভায়ও সংগঠনের পক্ষ থেকে একই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।