মেয়েকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে পালালেন মা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:১১ পূর্বাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৫

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামে হাজেরা খাতুন (৭) এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় রাতে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম। জানা যায়, নিহত হাজেরা খাতুন কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবার নাম হারুন অর রশীদ।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছার ইজিবাইক চালক হাসান আলী হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
স্থানীয়রা জানায়, হারুন অর রশীদ পাবনার একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। প্রায় ১০ বছর পূর্বে হাজেরার মা দোলনা খাতুন অন্য ব্যক্তির সঙ্গে চলে যান। এরপর হাজেরা কিছু দিন মায়ের কাছে ছিলেন। এরপর একটু বড় হওয়ার পর বাবার কাছে চলে আসেন। পরে হারুন অর রশীদ দ্বিতীয় বিয়ে করেন রুবি খাতুনকে। এ ঘরে আয়মান সেখ ও সালমান সেখ নামে তার যমজ শিশু সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবার জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় হাজেরা স্কুল শেষে বাড়িতে ফিরে আসে এবং সরাসরি তার সৎ মায়ের কাছে যায়। এরপর থেকেই তাকে আর দেখা যায়নি। তবে তার যমজ শিশু বাড়িতে আছে।
নিহত হাজেরার ফুপু হাসি খাতুন বলেন, আমরা শুনেছি মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়ি এসেই সৎ মায়ের কাছে গিয়েছিল। এরপর সৎ মা তাকে হত্যা করে ঘরে তালা মেরে পালিয়ে যায়। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো খোঁজ না পাওয়া গেলে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে ঘরের ভেতরে খুঁজে একটি বালতির ভেতরে বস্তার মধ্যে হাজেরার মরদেহ পাওয়া যায়। জানি না এ নিষ্পাপ শিশুটি কী করেছিল, যার জন্য তাকে খুন করতে হলো। ওকে মেরে ফেলে চলে গেল। আমাদের যদি জানাতো, আমরা ওকে মাদরাসায় দিয়ে দিতাম। আমরা এর বিচার চাই।
আরও পড়ুন: এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা গ্রহণের অভিযোগ
হাজেরার দাদি মনোয়ারা খাতুন বলেন, আমার নাতনির এ নির্মম হত্যার বিচার চাই। এমন অপরাধ মাফ করা যায় না।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি বালতির মধ্যে পেয়েছি। আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, বালিশ চাপা দিয়ে কিংবা গলা টিপে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এসআর/