সোহাগ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কি না, ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে: মির্জা ফখরুল


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:১০ অপরাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৫


সোহাগ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কি না, ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে: মির্জা ফখরুল
ফাইল ছবি।

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করা এবং বিএনপিকে বিতর্কিত করা হতে পারে।’


সোমবার (১৪ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল বলেন, “মিটফোর্ডের মর্মান্তিক ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। এটি শুধু একটি অপরাধমূলক ঘটনা নয়, এর পেছনে রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি থাকতে পারে বলেই আমরা সন্দেহ করি।”


তিনি আরও বলেন, “যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএনপির কেউ জড়িত থাকলে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে মামলায় যাদের নাম এসেছে, পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই।’



বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা একটি চিহ্নিত মহল দ্বারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে সন্দেহ হচ্ছে। এই ঘটনার বিচার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানাই।


রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবার ফ্যাসিবাদের ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনাটি যে পরিকল্পিত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইন্টারনেটে একটি সুনির্দিষ্ট সময় ভিডিও ছড়ানো হয়।


বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এটি কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা না, ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা; দলের চেয়ারপারসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। যারা জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিহত করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাই।


সুপরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাই। একইসঙ্গে অপরাজনীতি প্রতিহত করতে সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। এসব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো। সবাইকে সংঘাত সৃষ্টির উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।


প্রসঙ্গত গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে এবং মাথায় ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহের ওপরও চলে নৃশংসতা। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


এসডি/