ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া সেই মেয়েকে নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৫৭ অপরাহ্ন, ১৪ই জুলাই ২০২৫


ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া সেই মেয়েকে নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
ফাইল ছবি।

মা-বাবার নামে মামলা করে বর্তমানে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী মেহরীন আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ভিডিও ও বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে আলোচিত এই তরুণীকে নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহ।


সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে তিনি লেখেন, “এই বৃষ্টিস্নাত দিনে ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া আলোচিত সেই মেয়েটির বাবা-মার কথা ভাবছি। নিশ্চয় বুকে জমানো সবটুকু আবেগ, ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে তারা মেয়েটিকে বড় করছিলেন।”


তিনি আরও লেখেন, “ছোটবেলায় মেয়েটি যখন জ্বরে পড়েছে, বাবা-মার অসংখ্য নির্ঘুম রাত নিশ্চয় মেয়ের শিয়রে বসে কেটেছে। মেয়েটি যখন কিছু চেয়েছে, হয়তো নিজের সবটুকু দিয়ে তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। মেয়ের জন্যই হয়তো নিজেদের চাহিদা ত্যাগ করে গেছেন বারবার।”


মেহরীনের বাবা-মাকে নিয়ে গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “মেয়ে যখন জনাকীর্ণ আদালতে বাবা-মাকে ‘ক্রিমিনাল’ বলে অভিহিত করছিল, অসংখ্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে যখন অভিযোগের পাহাড় তুলছিল, তখন বাবা-মায়ের মানসিক অবস্থা কী হয়েছিল—তা ভাবতেই বুক হিম হয়ে আসে।”


শুধু আবেগ নয়, তিনি সমাজের দিকেও আঙুল তুলেছেন। শায়খ বলেন, “আজকাল প্রায়ই সন্তানরা আমাদের স্বপ্নভঙ্গ করছে। এর দায় অনেকটা আমাদের, মা-বাবাদেরই। আমরা সন্তানকে কেবল ক্যারিয়ার আর সাফল্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছি, কিন্তু ঈমান, আত্মপরিচয়, নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখাতে ব্যর্থ হচ্ছি।”


তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “যদি সময় থাকতে না সচেতন হই, তাহলে সন্তানদের হাতে বাবা-মা আরও বড় অপমানের শিকার হবেন। অধিকার খর্বের অভিযোগে বাবা-মার বিরুদ্ধে মামলা—এটাই হয়তো সতর্কতার কফিনে শেষ পেরেক।”


অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, “সন্তানকে শুধু স্কুলের পাঠ নয়, জীবনের পাঠও দিন। তাদের আত্মপরিচয়, ধর্মীয় শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ শেখানো এখন সময়ের দাবি। নয়তো ভবিষ্যতের আঘাত আরও নির্মম হবে।”


আরএক্স/