মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার মামলার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১৫ই জুলাই ২০২৫


মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার মামলার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি।

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পাথর দিয়ে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যা করার অন্যতম মূলহোতা নান্নুকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। রবিবার রাত ১ টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 


মঙ্গলবার (১৫ জুলাই)  র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


জানা যায়, সোহাগ হত্যার মূল আসামি নান্নু ভাইরাল ভিডিও এর ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা ৪ জনের একজন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত এই হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।


অন্যতম আসামি নান্নুর  গ্রেপ্তারের বিষয়ে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, র‌্যাব-১০ রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। আমরা তাদের সহযোগিতা করি। এ বিষয়ে বিস্তারিত র‌্যাব-১০ থেকে জানানো হবে।



এর আগে রবিবার সকালে ঢাকা ও নেত্রকোণা থেকে সজীব ও রাজীব নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।



গত বুধবার হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যার আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং ইটপাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ।



পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েক যুবক সোহাগকে বুধবার দুপুরে ডেকে নেয়। সন্ধ্যায় তাকে হত্যা করা হয়। সোহাগ পুরোনো তামার তার ও অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ ভাঙারি জিনিসের ব্যবসা করতেন। 



পারিবারিক সূত্র জানায়, সোহাগ একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। 


উল্লেখ্য, ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যা করা মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। প্রাথমিকভাবে চাঁদাবাজিকে হত্যার কারণ হিসেবে মনে করেছেন স্থানীয়রা।


এসডি/