কলকাতায় ‘পার্টি অফিস’ খুলে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:৪৩ পিএম, ৮ই আগস্ট ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গতবছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে। সেখানে তারা শুধু অবস্থানই করছেন না, ‘দলীয় কার্যালয়’ খুলে রাজনৈতিক কার্যক্রমও চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (০৮ আগস্ট) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার লাগোয়া একটি উপনগরীর ব্যস্ততম এলাকায় বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে খোলা হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। সেখানে নিয়মিতই ভিড় করেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের নেতৃবৃন্দরা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা জাতির জন্য অশনি সংকেত: গোলাম পরওয়ার
পাঁচ আগাস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা ভারতে অবস্থান করছেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দপ্তরের কাজকর্ম চালাতেন নিজেদের বাসাবাড়িতেই। আর বড় বৈঠকগুলো হতো কোনো রেস্টুরেন্ট কিংবা ব্যাঙ্কয়েট হল ভাড়া করে। সেকারণেই একটা নির্দিষ্ট পার্টি অফিসের দরকার ছিল বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা।
কীরকম সেই ‘পার্টি অফিস’
একটি বাণিজ্যিক ভবনের আট তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁদিকে গেলেই সারি সারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। স্টে করিডরের দুদিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তারমধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। পাঁচ-ছয়শ স্কয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সঙ্গে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে। সেখানে কোনো সাইন বোর্ড কিংবা শেখ হাসিনা বা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবিও নেই।
আরও পড়ুন: কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, খুবই সচেতনভাবে কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখিনি। আমরা চাইনি এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় কার্যালয়ে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।
ওই নেতা আরও বলেন, ৩০ থেকে ৩৫ জনের বৈঠক এই কার্যালয়ে করা যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনো হয়। তবে বড় বৈঠকগুলো, যেখানে শ দুয়েক নেতাকর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্টুরেন্টের একটি অংশ ভাড়া নেওয়া হয়।
এমএল/