জন্মদিনে বিয়ে করা বিষয়ে যা বলছে ইসলাম
ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ৯ই আগস্ট ২০২৫

বিবাহ মানুষকে শালীন, পবিত্র ও পরিপূর্ণ জীবনযাপনের পথের দিকে ধাবিত করে। মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই বিয়ের বিধান চলে আসছে। ইসলাম ধর্মে বিবাহকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় একটি ইবাদত হিসেবে বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে এবং বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তার জন্য দেরি না করে বিয়ে করা ইমানি দায়িত্ব।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যার বিয়ের সামর্থ্য আছে, তার বিয়ে করা উচিত। কেননা বিয়ে চোখকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা যৌবনের খায়েশ কমিয়ে দেয় (বুখারি : ৫০৬৫, মুসলিম: ১৪০০)।’
এই হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিয়ে করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ, দিন বা মাস ঠিক করে দেওয়া হয়নি; বরং সামর্থ্য হলে দেরি না করে বিয়ে করে নেওয়াই উত্তম কাজ।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর ৪০ দিন পর্যন্ত রুহ বাড়িতে আসা-যাওয়া করে, কতটুকু সত্য
কিন্তু আমাদের সমাজে কিছু কিছু লোক একটি ভুল বার্তা ছড়িয়ে মানুষকে বিব্রত করেন। তারা বলেন, ‘বর কিংবা কনের জন্মদিবসে বিয়ে করা যাবে না।’ তাদের দাবি, এই দিনে বিয়ে করলে দাম্পত্যজীবন অশুভ-অকল্যাণকর হয়।
এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ আলেমরা বলছেন, এমন ধারণা বা চিন্তার কোনো অস্তিত্ব কোরআন-হাদিসের কোথাও নেই। এটি মূলত হিন্দু সমাজ থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি কুসংস্কার মাত্র।
আবার অনেকে মনে করেন, মহররম মাসে বিয়ে করা ঠিক না। এটাও একটা ভুল ধারণা বলে বিবেচ্য।
আরও পড়ুন: সিগারেট খেলে কি ৪০ দিন নামাজ আদায় হয় না?
আলেমদের মতে, কোনো মুমিন এ জাতীয় বিশ্বাস রাখতে পারেন না। মুমিনের বিশ্বাস হবে, কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক একমাত্র আল্লাহতায়ালা।
প্রখ্যাত ইসলামী স্কলারদের মতে, বর-কনের জন্মদিনে বিয়ে করা যাবে না— শরিয়তে এই কথার কোনো দালিলিক ভিত্তি নেই। বরং যে কোনো দিন বিয়ে হতে পারে। জন্মদিনেও বিয়ে হতে পারে। এতে কোনো বাঁধা নেই।
তার ভাষ্য, যারা মনে করেন জন্মদিনে বিয়ে হতে পারে না, এটা একদম অনর্থক চিন্তা। একটি কুসংস্কার মাত্র। আর হাদিস শরিফে এসেছে, কুলক্ষণ-কুসংস্কার গ্রহণ করা শিরক (সুনানে আবু দাউদ : ২/১৯০, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া : ৩/৪১৯)।
এমএল/