ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র আতিক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র আতিক

ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আপনারা জনগণের খাল ও নদী বালু দিয়ে ভরাট করে বেদখল করবেন না। আপনারা নকশা অনুমোদনের সময় যে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান দেখিয়েছেন সেগুলো নগরবাসীকে ফিরিয়ে দিন। সেগুলো ফিরিয়ে না দিলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। এগুলো ফিরিয়ে না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর শ্যামলীর শ্যামলী পার্কে উন্নয়ন করা ‘সাতটি পার্ক ও মাঠের উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল বলেন, ‘ডেভেলপার ডিজাইনে দেখিয়েছে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান, বাজার কিন্তু যখন তারা দেখেছে, জায়গার দাম বেশি হয়ে গেছে, শেষ খেলার মাঠও তারা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে। এদের মুনাফেক বলবো। যারা ডিজাইনে দেখিয়েছেন আপনারা আমার প্লট কিনুন, এখানে খেলার মাঠ আছে। কিন্তু জায়গার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা মাঠটি প্লট আকারে বিক্রি করে দিয়েছেন।’

মেয়র বলেন, ‘আমি ফোন করে যখন বললাম, আপনারা নকশায় খেলার মাঠ দেখিয়েছেন। তারা বলে, 'আমরা খেলার মাঠ এখনো কিনতে পারিনি'। অথচ সব জায়গা প্লট আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এটা মানুষের সঙ্গে প্রহসন। এ দুনিয়ায় বিচার না হলেও আল্লাহর দুনিয়াতে বিচার হবে
আতিকুল আরও বলেন, যেই কথা বলতে যাই, তখনই মামলা দিয়ে দেন। ড্রেজার দিয়ে বালি ভরাট করতে থাকেন। ভারাট করেন কিন্তু যে জায়গাগুলোতে খাল, ডোবা, নদী সেগুলো আপনারা দখল করবেন না। ওগুলো তো আপনাদের জায়গা না! ওই খাল জনগণের জায়গা। ওই খাল দিয়ে নৌকা চলবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, বসিলা থেকে কীভাবে খাল দখল হয়ে যায়। আমি দেখেছি, কীভাবে রামচন্দ্রপুর খাল দখল হয়ে খেলার মাঠ হয়ে গিয়েছিল। রামচন্দ্রপুর খাল দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করে। যদিও সেই খালের মধ্যে এমন কিছু নেই যা ফেলা হয়নি। খালে নৌকা চললে মশার জন্ম হবে না। খালগুলো দখল করে আমরা এমন অবস্থা করেছি ওখানে আর মাছের চাষ হয় না, মশার চাষ হয়। এটা বাস্তব সত্য কথা।’

পরে মেয়র সাতটি পার্ক ও খেলার মাঠের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পার্ক ও খেলার মাঠগুলো হলো— শ্যামলী পার্ক, ইকবাল রোড পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, বনানী ব্লক-সি পার্ক, বারিধারা পার্ক, বনানী ব্লক-এফ পার্ক, রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।

ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।

ওআ/