চাঁদপুরে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও, দাম নাগালের বাইরে
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৩১ এএম, ১৫ই আগস্ট ২০২৫

‘ইলিশের রাজধানী’ নামে খ্যাত চাঁদপুরে ভরা মৌসুমে ধীরে ধীরে বাড়ছে এ মাছের সরবরাহ। প্রতিদিন গড়ে ঘাটে আসছে ৪০০ থেকে ৫০০ মণ ইলিশ। আকারভেদে কেজি প্রতি দামও রয়েছে ওঠানামার মধ্যে। সুস্বাদু আর টাটকা ইলিশ কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে ক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠছে চাঁদপুরের ইলিশঘাট। তবে এসব ইলিশের বেশীর ভাগই সাগর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভরা মৌসুমে ধীরে ধীরে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় গেলো সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে কেজি প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। গেল এক সপ্তাহ ধরে গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ মণ ইলিশ কেনা-বেচা হচ্ছে এই ঘাটে। সুস্বাদু আর তাজা ইলিশ কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে যান খুচরা-পাইকারি ক্রেতারা।
খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা। আর এক কেজির নিচে ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ১৮ হাজার ৫০০ বস্তা সিমেন্টসহ জাহাজ ডুবি
জেলা মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যমতে ‘এবার ৪৪ হাজার জাটকা ইলিশ যুক্ত হয়েছে। গেল বছর ৪১ হাজার ছিল। এবার তিন হাজার বেশি জাটকা ইলিশ যুক্ত হয়। ভরা মৌসুমে ধীরে ধীরে বাড়বে ইলিশের প্রাপ্যতা।’
ইলিশ ক্রেতা দুলাল জানান, গেলো সপ্তাহে ইলিশের দাম বেশি ছিলো। এ সপ্তাহে কিছুটা কমলেও এখনও মানুষের নাগালের বাইরে। দাম আরো কিছুটা কমলে মানুষের আয়ত্তের ভিতরে থাকবে।
আরেক ক্রেতা সবুজ বলেন, এখনও মাছের দাম কমছে না। গত বছর এদিনে মাছের দাম কম ছিলো, অনেক মাছ কিনেছি। এবছর কিনতে পারিনি ইলিশের দাম বেশি হওয়ায়।
চাঁদপুর মাছ ঘাটের ইলিশ বিক্রেতা নবীর হোসেন জানান, গেলো কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে, তাই দামও কিছুটা কমেছে। তবে সামনে দাম কমার সম্ভাবনা নেই। মৌসুম শেষে ধীরে ধীরে ইলিশের সরবরাহ কমে আসলে দাম বাড়তে শুরু করবে।
আরও পড়ুন: ঋণের বোঝা সয়তে না পেরে মা ময়ের আত্মহত্যা
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত বলেছেন, এখন প্রতিদিন ঘাটে ৪০০-৫০০ মণ ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ছোট সাইজের মাছ বেশি। আকারভেদে মাছের দাম ওঠানামায় আছে। কয়েকদিন পর ইলিশের সরবরাহ কমতে শুরু করলে দাম আরও কিছুটা বাড়বে।
এমএল/