নারীর শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে জেনে নিন অনীহার কারণ ও সমাধান
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ১৮ই আগস্ট ২০২৫

দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অনীহা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে। সাধারণত এ সমস্যার দায় পুরুষদের ওপর চাপানো হলেও নারীদের মধ্যেও বিভিন্ন কারণে এ ধরনের অনাগ্রহ বা অসুবিধা দেখা দেয়।
তবে সঠিক চিকিৎসা ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: "মিষ্টি স্বাদের খোঁজে? জেনে নিন তালের পায়েস তৈরির সহজ রেসিপি!
স্কিনেজ ডার্মাকেয়ারের চিফ কনসালটেন্ট ডা. তাসনিম তামান্না হক জানান, নারীদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অনীহার অন্যতম কারণ হলো হাইপোএকটিভ সেক্স্যুয়াল ডিজায়ার ডিজঅর্ডার (HSDD)। এ সমস্যায় দীর্ঘমেয়াদে কিংবা বারবার সম্পর্ক স্থাপনে অনাগ্রহ দেখা যায়। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে এমন পরিস্থিতি চললে একে HSDD হিসেবে নির্ণয় করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনে অন্তত একজন নারী কোনো না কোনোভাবে HSDD তে ভুগছেন। বিশেষ করে পেরিমেনোপজ ও মেনোপজের সময়ে এ সমস্যা বেড়ে যায়, যার হার ২৬% থেকে ৫২% পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভেজানো বাদামের অসাধারণ গুণাগুণ, জানুন স্বাস্থ্য উপকারিতা
HSDD হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো হলো- ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো মেডিকেল কন্ডিশন, কিছু ওষুধ যেমন ডিপ্রেশনের ঔষধ, ব্লাড প্রেসার কমানোর ওষুধ, দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশন বা এংজাইটি, বয়স ও মেনোপজজনিত হরমোন পরিবর্তন।
চিকিৎসা: কারণ চিহ্নিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে ওষুধ বন্ধ বা শুরু করা বিপজ্জনক হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রয়োজনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া প্রয়োজনে মেডিসিন ব্যবহার করা যায়, তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া টোটকাই অপারেশন ছাড়াই নির্মূল হবে পিত্তথলির পাথর
ডা. তাসনিম তামান্না বলেন, “শারীরিকভাবে ফিট না হয়ে এসব ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। নাহলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।”
সঠিক চিকিৎসা, মানসিক সহায়তা ও সাইকোথেরাপির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটি সুখী ও পরিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এএস