শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে পানাহ পেতে করণীয়


Janobani

ইসলাম ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ১৮ই আগস্ট ২০২৫


শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে পানাহ পেতে করণীয়
ফাইল ছবি

সব মানুষের ওপর শয়তান ও ফেরেশতার প্রভাব রয়েছে। শয়তান মানুষকে খারাপ ও মন্দের প্রতি আহ্বান করে আর ফেরেশতা ভালো ও কল্যাণময় জীবনের দিকে আহ্বান করে। পবিত্র কুরআন মাজীদে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন—


 وَّ لَاُضِلَّنَّهُمۡ وَ لَاُمَنِّیَنَّهُمۡ وَ لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُبَتِّكُنَّ اٰذَانَ الۡاَنۡعَامِ وَ لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰهِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّخِذِ الشَّیۡطٰنَ وَلِیًّا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانًا مُّبِیۡنًا


আমি অবশ্যই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব; অবশ্যই তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করব, আর অবশ্যই আমি তাদেরকে নির্দেশ দেব, তাদেরকে নির্দেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবে। আর অবশ্যই তাদের নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আর আল্লাহর পরিবর্তে কেউ শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করলে সে স্পষ্টতঃই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (সুরা আন নিসা, আয়াত : ১১৯)


আরও পড়ুন: জাহান্নামীদের বিছানা ও পোশাক সম্পর্কে যা বলে ইসলাম


হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন—


শয়তানের প্রভাবে মানুষ অমঙ্গলের ভয়ে ভীত হয় এবং সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। আর ফেরেশতাদের প্রভাব হচ্ছে শুভসান্ত্বনা প্রদান ও সত্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন । যে ব্যক্তি ফেরেশতাদের এই শুভপ্রভাব লাভ করবে, সে জ্ঞাপন করবে আল্লাহপাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা । আর যে শয়তানের প্ররোচনা অনুভব করতে পারবে, সে হবে আল্লাহর নিকট আশয় প্রার্থনাকারী। (তিরমিজি)


অন্য হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, শয়তান কোনো কোনো লোককে প্রশ্ন করতে থাকে এটা কে সৃষ্টি করেছে, ওটা কে সৃষ্টি করেছে। মানুষ বলে, আল্লাহ । আল্লাহই সকল কিছুর স্রষ্টা। এ রকম প্রশ্নোত্তরের এক পর্যায়ে এসে সে প্রশ্ন করে বসে, বলো আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? এমতাবস্থায় কর্তব্য হচ্ছে বিতর্কে ক্ষান্ত দেয়া এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা । (বুখারি, মুসলিম)


আরও পড়ুন: মৃত্যুর ৪০ দিন পর্যন্ত রুহ বাড়িতে আসা-যাওয়া করে, কতটুকু সত্য


কখনো মনে শয়তানের এমন কুমন্ত্রণা অনুভব করলে প্রতিটি মানুষের আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে এবং তার ধোঁকা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে মাজীীদে বলেন, ‘(হে নবী) আপনি বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের প্রতিপালকের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে সেই কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিন এবং মানুষের মধ্য থেকে’ (সুরা নাস, আয়াত : ১-৬)।


এমএল/