বিএফআইইউ প্রধানের ভিডিও ফাঁস, তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২২ পিএম, ১৯শে আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
ভিডিও ফাঁসের ঘটনা সামনে এসেছে এমন সময়ে, যখন এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ফ্রিজ করা হিসাব থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন শাহীনুল ইসলাম। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছিল বিএফআইইউ। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাংক আল-ফালাহ’র চারটি অ্যাকাউন্ট পুনরায় ফ্রিজ না করায় ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ পান তিনি।
আরও পড়ুন: ১৭ দিনে এসেছে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে আরও জানা গেছে, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বিভিন্ন রুটের বাস থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন। এরই মধ্যে ২৭ মে আদালতের আদেশে পুনরায় এসব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হলেও বর্তমানে সেখানে প্রায় ১০১ কোটি টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। এ নিয়ে অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শাহীনুল ইসলাম এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, “ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে এনা পরিবহনের আবেদনের ভিত্তিতে আংশিক টাকা উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরকম সুযোগ অন্য প্রতিষ্ঠানকেও দেওয়া হয়েছে।” তবে তার দাবি, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলো ভুয়া এবং তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রথমবার ‘রয়্যাল এনফিল্ড রাইডআউট’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্দোলনের মুখে ২০২৩ সালের আগস্টে বিএফআইইউ’র তৎকালীন প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগে বাধ্য হন। দীর্ঘদিন পদ শূন্য থাকার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে শাহীনুল ইসলামকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। যদিও সার্চ কমিটির সুপারিশকৃত তালিকায় তার নাম ছিল না, তবুও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে নিয়োগ পেয়ে তিনি দায়িত্ব নেন, যা নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
এএস