দার্জিলিং ভ্রমণ, যে ৭ স্থানে যেতে মোটেও মিস করা যাবে না


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮:৩১ পিএম, ২৬শে আগস্ট ২০২৫


দার্জিলিং ভ্রমণ, যে ৭ স্থানে যেতে মোটেও মিস করা যাবে না
ছবি: সংগৃহীত

কুয়াশার চাদরে মোড়া সকাল, পাহাড় ছুঁয়ে আসা হিমেল বাতাস, চায়ের সুবাসে ভরা বিকেল আর পাহাড়ি শহরের নাম উঠলেই ভ্রমণ পিপাসুদের যে জায়গার কথা প্রথম মনে পড়ে যায় তা হলো দার্জিলিং। হাতের নাগালের মধ্যে শীতল বাতাস আর দুর্দান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পেতে অনেকেই গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ছুটে যান মেঘ-পাহাড় আর হিমশীতল দার্জিলিংয়ে অবকাশ যাপনে।


পাহাড়ি এই জনপদে ঘুরে আসার পরও অনেকেই শহরটির গভীরতা ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পান না। এমন কিছু অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হন, যা ভ্রমণকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে পারত। যারা এর আগে গিয়েছেন কিংবা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য রইল দার্জিলিংয়ের এমন সাতটি ‘মাস্ট ডু’ অভিজ্ঞতার তালিকা; যা মিস করলেই আপনার ট্রিপ রয়ে যাবে অসম্পূর্ণ।


১. ঘুম মনাস্ট্রি ও হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট


দার্জিলিংয়ের প্রাণশক্তি শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নয়। ঘুম মনাস্ট্রিতে অবস্থিত বিশাল বুদ্ধমূর্তি আর নীরব পরিবেশ যেন ভিন্ন এক জগতে নিয়ে যায়। কাছেই আছে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, যেখানে দেখা যায় এভারেস্টজয়ী তেনজিং নোরগে ও শেরপাদের স্মৃতি। 


আরও পড়ুন: যেসব খাবার পাইলসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর


২. স্থানীয় হস্তশিল্পের বাজার


চৌরাস্তা ও নিউ মার্কেট ঘুরলে বোঝা যায় দার্জিলিংকে সংস্কৃতির শহরও বলা হয়। কাঠের খেলনা, হাতে বানানো পশমি পোশাক ও স্থানীয় হস্তশিল্পের পসরা দেখে চোখ আটকে যায়। মনে রাখবেন এগুলো শুধু শিল্প নয়, মনে হয় যেন স্থানীয় মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি।


৩. চা-বাগান


দার্জিলিং মানে শুধু বিখ্যাত চা খাওয়া নয়, বরং চা-বাগানের সবুজ ঢেউয়ের ভেতর দিয়ে হেঁটে বেড়ানোও একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা। গাইডের সাহায্যে ‘হ্যাপি ভেলী টী এস্টেট’ বা ‘মাকেইবারি টী গার্ডেন’-এ গিয়ে চা বানানোর পদ্ধতি সরাসরি দেখতে পারেন। প্রকৃতি আর শিল্প; দুটোরই ছোঁয়া মিলবে এখানে।


৪. টাইগার হিল থেকে প্রভাতের সূর্যোদয় দেখা


ভোরের কুয়াশা ভেদ করে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় সূর্যের প্রথম আলো পড়া–এই দৃশ্য একবার দেখলে তা আজীবন মনে গেঁথে থাকবে। টাইগার হিলে ভোর ৪টার মধ্যে পৌঁছাতে পারলে আপনি হবেন এই প্রাকৃতিক চিত্রনাট্যের প্রত্যক্ষদর্শী।


আরও পড়ুন: যাতায়াতের সময় নষ্ট নয়, কাজে লাগান বুদ্ধিমত্তায়


৫. পায়ে হেঁটে শহর ঘুরে দেখা


দার্জিলিংকে যারা শুধু গাড়িতে বসে দেখে ফেলেন, তারা অনেক কিছুই মিস করেন। শহরটিকে আপন করে নিতে হলে হাঁটার জন্য একদিন সময় রাখুন। মল রোড থেকে অবজার্বেটরি হিল পর্যন্ত হেঁটে গেলে প্রকৃতি, স্থাপত্য ও মানুষের জীবনের এক অনবদ্য সংমিশ্রণ চোখে পড়বে।


৬. টয় ট্রেনে চড়া


দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা টয় ট্রেন কেবল বাহন নয়, বরং এটি নিজেই এক জীবন্ত ঐতিহ্য। ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এই ট্রেন আপনাকে এক রূপকথার জগতে নিয়ে যাবে। কার্শিয়ং থেকে দার্জিলিং বা ঘুম পর্যন্ত যেকোনো রুটে টিকিট কেটে আগেভাগে চড়ে ফেলুন।


৭. স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া 


দার্জিলিংয়ের ঘ্রাণ কেবল বাতাসে নয়, খাবারেও। স্থানীয় থুকপা, মোমো বা নুডলসের স্বাদ না পেলে এই শহরের রন্ধন ঐতিহ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। মল রোডের গলিপথে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট ‘কোঙ্গা’, ‘সোনাম’স কিচেনে’ ঢুঁ মারতে মোটেও মিছ করবেন না।


এমএল/