চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮:৫০ পিএম, ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫


চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যবিদদের ভাষায় চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। দুধ-ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম থাকায় এটি স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে এখন বেশ পরিচিত। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায়ও এই বীজের ব্যবহার ছিল। দেখতে অনেকটা তিলের মতো এই বীজ প্রধানত আমেরিকা ও মেক্সিকো অঞ্চলে উৎপাদিত হয়ে থাকে।


একনজরে চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ


চিয়া সিডে দুধের চেয়ে ৫ গুণ ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ আয়রন, কলার দ্বিগুণ পটাশিয়াম, ডিমের চেয়ে ৩ গুণ প্রোটিন এবং স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।


এছাড়া এতে বিদ্যমান রয়েছে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ক্যাফিক অ্যাসিড),ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম,দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ।


আরও পড়ুন: হজমশক্তি উন্নত করতে সহায়ক ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ এই ৪ ফল


উপকারিতা


. ওমেগা-৩ থাকার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

. ক্ষতিকর কোলেস্টেরল হ্রাস করে।

. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

. মেটাবলিজম উন্নত করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

. কোলন পরিষ্কার রাখে, কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

. অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কার্যকর।


খাওয়ার নিয়ম


. স্বাভাবিক বা কুসুম গরম পানিতে ২০–৩০ মিনিট ভিজিয়ে খেতে হবে।

.সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া যায়।

.ওটস, স্মুথি, জুস, পুডিং, টকদই, সিরিয়াল বা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াও জনপ্রিয়।


আরও পড়ুন: কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বেশ উপকারী যেসব সবজি


অপকারিতা


. কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত খেলে প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

. বেশি খেলে হজমের সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।

. অতিরিক্ত গ্রহণে অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস পেতে পারে।


চিয়া সিড খাওয়া কাদের জন্য বিপজ্জনক


চিয়া সিড নিঃসন্দেহে একটি পুষ্টিকর সুপারফুড, তবে পরিমাণে সীমিত না খেলে উপকারের পাশাপাশি অপকারও ডেকে আনতে পারে। স্বাস্থ্যসচেতনদের ডায়েটে এটি নিয়মিত থাকলেও সতর্ক থাকতে হবে পরিমাণের বিষয়ে।


এমএল/