ডাকসু নির্বাচনে কড়া নিরাপত্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫


ডাকসু নির্বাচনে কড়া নিরাপত্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ
ডাকসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন রয়েছে দুই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। নিষিদ্ধ করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র বহন।


ক্যাম্পাসের প্রধান প্রবেশপথ—শহীদ মিনার, পলাশী, নীলক্ষেত, উদয়ন স্কুল, ফুলার রোড ও দোয়েল চত্বর সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা–কর্মচারী ও সাংবাদিকেরা প্রবেশ করতে পারছেন। সকাল সাড়ে আটটার দিকে শাহবাগ মোড়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশে ছাড় পাচ্ছে। প্রবেশমুখের ভেতরে বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন এবং অপ্রয়োজনীয় চলাচল ঠেকাচ্ছেন।


ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, সোয়াট ও সাদাপোশাকধারী গোয়েন্দারাও দায়িত্বে আছেন। ক্যাম্পাসে বসানো হয়েছে আটটি চেকপোস্ট। রাখা হয়েছে সিসিটিভি মনিটরিং, মোবাইল টহল ও রিজার্ভ ফোর্স। সোমবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।


বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের সমন্বয়ে ভলান্টিয়ার টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিটি হলে ভোটকেন্দ্র পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করছেন। উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আশা করি, শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক পরিবেশে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।”


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ও জরুরি সেবার যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছে।


মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আটটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ডাকসুতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ১৩ ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার রয়েছেন।


ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী, যাঁদের মধ্যে ৬২ জন ছাত্রী। ১৮টি হলে মোট ২৩৪টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী।


এসএ/