লিবিয়ায় জিম্মি মাদারীপুরের ২৮ যুবক, মুক্তিপণ আদায়ে ইউপি চেয়ারম্যান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


লিবিয়ায় জিম্মি মাদারীপুরের ২৮ যুবক,  মুক্তিপণ আদায়ে ইউপি চেয়ারম্যান

লিবিয়ায় জিম্মি মাদারীপুরের বিভিন্ন উপজেলার ২৮ যুবক। তাদের পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে মুক্তিপণের লাখ লাখ টাকা। এতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ভাইরাল হয়েছে তার টাকা গুণে নেয়ার ভিডিও। 

আদরের সন্তান কেমন আছে জানেন না বাবা মোক্তার বেপারী ও মা রেহানা বেগম। দালালদের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় আর খোঁজ মেলেনি সাগরের। 

একই অবস্থা কালকিনির গোপালপুরের বনি সরদার, ফয়সাল ঘরামি, হাসান সরদার, মেহেদী বেপারী, আহাদ সরদার, এনামুল ঘরামিসহ বেশ কয়েক যুবকের। 

সাগরের বাবা বলেন, ‘ওরা বলেছে আমাদের আরও আট লাখ টাকা দাও, নাহলে ছেলে ফেরত আসবেনা।’

সাগরের মা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, এতো টাকা কই পাবো!’

জনপ্রতি নয় লাখ টাকায় চারমাস আগে অবৈধভাবে ইতালি রওনা হন ওই ২৮ জন যুবক। পথে লিবিয়ায় তাদের জিম্মি করা হয় মুক্তিপণের জন্য।

কালকিনির গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ মাতুব্বর মুক্তিপণের টাকা গুণে নিচ্ছেন- এ ধরনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার গিয়েও দেখা মেলেনি চেয়ারম্যানের। তবে মোবাইল ফোনে দালালচক্রে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।

ফরহাদ মাতুব্বর বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে পাসপোর্ট আর টাকা আনছি কিনা তদন্ত করে দেখেন। তারা সরাসরি দালালের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিছে।’

লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পুলিশের। জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘যে সব দালাল এসব কাজের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের আমরা এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছি। আর আমরা সব সময়ই বলি অবৈধভাবে দালালে মাধ্যমে আপনারা কেউ বিদেশ যাবেন না কিংবা পাঠাবেন না।’

জিম্মি স্বজনের ক্ষতির আশঙ্কায় অভিযোগ করে না ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এ সুযোগে বেপরোয়া দালালচক্র- দাবি সচেতন মহলের।

এসএ/