কুকুর বলে গালি দেয়ায় একই পরিবারের ৬ জনকে কামড়িয়ে জখম
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
কুকুর বলে গালি দেওয়ায় একই পরিবারের ৬ জনকে কামড়িয়ে জখম করেছে এক যুবক। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকালে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঐ যুবকের নাম কালাম সর্দার।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাঁটরার বাসিন্দা মো. কালাম সর্দার এবং আনোয়ার শিকদার গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকালে কালাম সর্দার বাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী বাবুল হাওলাদারের ১০ বছর বয়সি তাকে (কুত্তা) কুকুর বলে গালি দেয়। এতে কালাম সর্দার ক্ষুব্ধ হয়ে তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে আনোয়ার শিকদার ও সাত্তার শিকদারের বসতঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাঁধা দিতে এলে ওই পরিবারের শিশুসহ ৬ জনকে কামড়িয়ে জখম করেন তারা।
আহতরা হলেন, মাসুদা বেগম (৫০), সুমাইয়া আক্তার (২০), ৬ মাসের শিশু রাইয়ান, শাকিল (১৪), লাভলী (২৭) ও তাসমিম (১২)। বর্তমানে আহতরা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আনোয়ার শিকদারের স্ত্রী লাভলী বেগম বলেন, ‘পাশের বাড়ির একটা ছেলে কালাম সর্দারকে গালি দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। আর মনে মনে ধারণা করেন যে এটা আমরা ওই ছেলেকে শিখিয়ে দিয়েছি। তাই আমাদের বসতঘর ভাঙচুরসহ আমাদের ৬ জনকে কামড়িয়ে আহত করেছে।’
অভিযুক্ত কলাম সর্দারের ভাতিজি মানসুরা আক্তার কামড়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের পূর্ব বিরোধ চলছে। শুক্রবার দু'পক্ষের মারামারি হয়েছে। তবে কামড়ের বিষয়টি বানোয়াট এবং কিছু দিন আগে আমার বাবা ও কাকাকে ওরা সন্ত্রাসী দিয়ে মেরেছে ও আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মিজান সর্দার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সালাম ও কালামের পরিবার অত্যন্ত খারাপ। এরা বিগত দিনেও মৌলভী আ. বারী, খালিদ হোসেন ও সোবহান সর্দারকে কামড়িয়েছে।’
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসএ/