রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৯ বছর: বিচার মেলেনি আজও


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৯ বছর: বিচার মেলেনি আজও

বহুল আলোচিত সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৯ বছর আজ রোববার (২৩ এপ্রিল)। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ধসে পড়েছিল ৯ তলা ভবনটি। এটি ছিল দেশের পোশাকশিল্পে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।

ধসে পড়ে সাভারের আটতলা রানা প্লাজা ভবন। ওই ঘটনায় ১ হাজার ১৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত হন ২ হাজার ৪৩৮ শ্রমিক। আহতদের অনেকেই পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

দিনটির স্মরণে শ্রমিক সংগঠন, আহত শ্রমিক, নিহত শ্রমিকদের স্বজনসহ বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ এ ট্র্যাজেডিতে স্বজন হারানো ব্যক্তিরা প্রতিদিন বিলাপ করেন বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নির্মিত রানা প্লাজার স্মৃতিস্তম্ভের সামনে। রানা প্লাজা ধসের পর নয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও দায়ীদের বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই। এ ঘটনার মূল মামলার ছয় বছর আগে বিচার শুরু হলেও এখনও কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ভবনের মালিক রানা, তার পরিবার, সাভার পৌরসভার তৎকালীন মেয়রসহ বিভিন্ন জনের নামে পাঁচটি মামলা হয়।

সাভার মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে ‘অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যার’ অভিযোগ এনে মামলা করেন।

২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে রানার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। থমকে আছে মামলার বিচার কার্যক্রম। রানা প্লাজা ধস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪১ আসামির মধ্যে বর্তমানে কারাগারে আছেন কেবল ভবনের মালিক সোহেল রানা। বাকি আসামিদের মধ্যে জামিনে আছেন ৩২ জন, পলাতক ছয় জন ও মারা গেছেন দুজন।

ধ্বংসস্তূপ অপসারণের পর ১৮ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত ভয়াল সেই ঘটনাস্থলের চারপাশটা কাঁটাতার ও টিনের বেড়া দিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসন। এর সামনেই বিভিন্ন সংগঠন তৈরি করেছে শহীদ বেদী।

ওআ/