ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা দুই দিনের রিমান্ডে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা দুই দিনের রিমান্ডে

ময়মনসিংহের নান্দাইলে নারী ফুটবলারকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় সেই ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল ফকিরের ফকিরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মো. ফয়সাল ফকির উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সে পৌর শহরের পাছপাড়া গ্রামের লাল মিয়া ফকিরের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এ এপ্রিল) বেলা ৩ টার দিকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হলে বিচারক রাজিব হাসান দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট পরিদর্শক প্রসুন কান্তি দাস  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ ওই আসামীর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে তুললে বিচারক তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ওই দিন সকাল ১১ টার দিকে ওই কিশোরীর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান পুলিশ।

এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আকন্দ  বলেন, ওই কিশোরী ধর্ষণ নাকি ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত হতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, মামলাটি থানা থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই আসামীকে রিমান্ডে নেয়া হবে।

এর আগে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে পৌর শহরের নান্দাইল সরকারী শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পিছনে ওই ফুটবলার কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন বলে থানায় অভিযোগ উঠে।

এই ঘটনায় শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) ওই নারী ফুটবলার নিজে বাদী হয়ে ফয়সাল ফকির ও তার দুই সহযোগীকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তবে, ওই কিশোরী ফুটবলারের অভিযোগ গত সোমবার (২৫ এপ্রিল) পুলিশ ধর্ষণ মামলা রুজু না করে ধর্ষণ চেস্টার মামলা রুজু করেছেন বলেও অভিযোগ উঠে।

এই নিয়ে বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওই দিন বেলা দুইটার দিকে নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ফকিরকে গ্রেপ্তার করে।

ফয়সাল পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় আগে থেকেই পরিচিত। ঘটনার দিন সকালে ফয়সাল ফোন করে বলে, উপবৃত্তির ফরমে স্বাক্ষর দিতে হবে। তাড়াতাড়ি নান্দাইলের শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজে এসো। এমন কথা শুনে সরল বিশ্বাসে আমি কলেজের গেটে গিয়ে তাকে ফোন করি। ফোন করলে আমাকে কলেজের পেছনে যেতে বলে। আমি কলেজের পেছনে যেতেই মুখ চেপে ধরে ফয়সাল।

এ সময় চিৎকার করলে আশপাশে দু’তিন জন মানুষ আসতে চাইলে ফয়সাল তাদের চাকু দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিলে তারা চলে যায়। এ সময় কলেজের পিয়ন আব্দুর রহিম আমার চিৎকার শুনে কাছে আসতে চাইলে তাকেও চাকু দেখিয়ে ভয় দেখালে তিনিও সেখান থেকে চলে যান। পরে ফয়সাল ও তার দুই সঙ্গী আমাকে কলেজের পুরাতন বিল্ডিংয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এ সময় তার সঙ্গীরা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের পর চলে যেতে চাইলে ফয়সাল কাউকে এই ঘটনা জানালে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে মা বাবাকে বিষয়টি জানালে পরদিন শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে থানায় গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন।

এসএ/