দাফনের আড়াই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ উত্তোলন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


দাফনের আড়াই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ উত্তোলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আব্দুল ওয়াহিদ নামের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর আড়াই বছর পর মরদেহের হাড় ও মাথার খুলি ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা নারুই কবরস্থান থেকে মরদেহটির দেহাবশেষ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান। ঘটনার প্রায় দুই বছর পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর স্ত্রী হোসনা বেগম আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২২ নভেম্বর মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, প্রতিবেশী হাশেম মিয়া-আবুল খায়েরের পরিবারের সঙ্গে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল।

২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাশেম-খায়েরের পরিবারের সদস্যদের হামলায় নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বররা হত্যা ও জায়গার বিরোধ মীমাংসা করে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এ অবস্থায় কোনো প্রকার মামলা ও ময়নাতদন্ত ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদের মরদেহটি দাফন করা হয়।

ঘটনার পাঁচ দিন পরই শালিস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাশেম-খায়েরের পরিবারের বসতভিটা নিহতের পরিবারকে লিখে দিয়ে গ্রাম থেকে চলে যেতে বলা হয়। রায় মেনে নিলেও পরবর্তীতে টালবাহানা করেন অভিযুক্তরা।

ফলে ঘটনার দুই বছর পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে নিহতের স্ত্রী হত্যা মামলা করেন। নভেম্বরে আদালত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন। ফলে শনিবার মরদেহটির হাড় ও মাথার খুলি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা কবরের সঠিক স্থান দেখাতে না পারায় মরদেহটি উদ্ধারে বিলম্ব হয়। কবর শনাক্তের পর মাথার খুলি ও ৮৭টি হাড় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।’

এসএ/