সরকারের ঋণ তহবিল সিনেমা হল মালিকদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সরকারের ঋণ তহবিল সিনেমা হল মালিকদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সহজ শর্তে সরকারের দেওয়া ঋণ সুবিধা নিয়ে প্রতি জেলা ও উপজেলায় সিনেপ্লেক্স ও হল নির্মাণের মধ্য দিয়ে আগামী দেড়-দুই বছরের মধ্যে সারা দেশে কয়েকশ’ সিনেমা হল চালু হওয়া সম্ভব। আমরা চাই, আমাদের সিনেমা শিল্প বিশ্ব অঙ্গনে জায়গা করে নেবে।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দেন শতাধিক সিনেমা হল মালিক। নতুন সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে সরকার ঘোষিত এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিলের সুবিধা ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিয়ে শতাধিক হল মালিক ও উদ্যোক্তার সঙ্গে ফলপ্রসূ এই সভা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিশাল এক অনুষঙ্গ। চলচ্চিত্র তথা সিনেমা হলের বিকাশ সমাজকে বিপথগামিতা থেকে রক্ষায় সহায়ক। তরুণ সমাজকে মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদ থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও সিনেমা শিল্প বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

সভায় সিনেমা হল মালিকরা সহজ শর্তে এক হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠনকে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা, ইউসিবি, মেঘনা, বিডিবিএল ও ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন প্রাণ সঞ্চারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে ১০০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের অনুরোধ জানায়। এরপর গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি পরিপত্রের মাধ্যমে সব তফসিলভুক্ত ব্যাংক থেকে নতুন সিনেপ্লেক্স বা সিনেমা হল নির্মাণে সর্বোচ্চ ১০ কোটি এবং  সংস্কারে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করে। দেশে মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে ৫ শতাংশ ও এর বাইরের এলাকায় সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ৮ বছর মেয়াদি এই ঋণ সুবিধা রাখা হয়েছে।

ওআ/