এবার পান করা যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, করবে ভ্যাকসিনের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে উন্নতি হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতেও, আর এবার দেশে এসেছে খাবার উপযোগী হ্যান্ড স্যানিটাইজার। শুধু তাই নয়, বহুবিদ ব্যাবহার উপযোগি এই পণ্যটি একই সাথে হাত, মুখ, চোখ এমনকি মুখের ভিতর পরিষ্কারেও ব্যাবহার করা যাবে। এছাড়াও ক্ষত স্থানে ব্যাবহার করলে এন্টিবায়োটিকের কাজ করবে এ্যালকোহলমুক্ত এ পণ্যটি।
রবিবার (১৫ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ক্রাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই তথ্য জানালেন পণ্যটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এনভারটেক বাংলাদেশ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার আল-আমিন।
আল-আমিন বলেন, আমাদের কাছে সিলভার আয়োনাইজড স্যানিটাইজার রয়েছে, এটি একটি পানীয়যোগ্য স্যানিটাইজার। অর্থাৎ আপনি স্যানিটাইজার পান করতে পারেন। এ্যালকোহল থাকায় জীবাণুনাশক পান করাটা আশ্চর্যজনক। কিন্তু এটাতে এ্যালকোহল না থাকায় পান করা যাবে এবং সিলভার আয়নযুক্ত জল থাকায় এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং উপকার। এছাড়াও এটিতে দ্রবণীয় প্রদার্থ না থাকায় সংরক্ষণ করা সহজ। তাই এটাকে আমরা ড্রিঙ্কেবল স্যানিটাইজার বলি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই পণ্যটি ১ শত ন্যানোমিটার রৌপ্যের ৯৯ শতাংশের বেশি আয়নাইজ করে এবং ০ পিপিএম পাতিত জলের সাথে একত্রিত করে তৈরি একটি স্যানিটাইজার। এই পণ্যটি বাংলাদেশ সায়েন্স ল্যাবে জীবাণুমুক্ত করার জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে। অন্যান্য কোম্পানির স্টারিলাইজেশনের তুলনায় ৯৬ শতাংশ থেকে ৯৮ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা৷ এই পণ্যটিকে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলার জন্য চমৎকার জীবাণুমুক্ত করার ক্ষমতা হিসেবে পত্যয়িত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আল-আমিন আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ঘোষণা করেছে এমনকি সিলভার আয়নজল পান করার সময়ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক কোন পদার্থ নেই। এসময় তিনি ডঃ জ্যাকি স্টোনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এই পণ্যটি যখন নাসাল স্প্রে হিসাবে ব্যবহার করা হয় তখন এটি কোভিড-১৯ ভাইরাসকে মেরে ফেলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে এবং এটি রক্ত জমাট বাঁধা এবং ভ্যাকসিনের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের উদ্ধৃতি দিয়ে আল-আমিন বলেন, গুগল জার্নাল, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ক্লিনিক্যাল কেমিস্ট্রিয়ের (আইএফসিসি) সদস্য এবং সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিতে পানীয় জল হিসেবে রুপালী আয়নযুক্ত জলকে অনুমোদন করেছে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশ এটিকে জীবাণুনাশক হিসেব অনুমোদন করেছে এবং ব্যাবহার করছে। তাই আমাদের দেশে এটি অনুমোদিত হলে শুধু বাংলাদেশ নয় প্রতিবেশী দেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল ম্যানেজার আল-আমিন জানান, 'অল জার্ম কিলার' নামক কোরিয়ান প্রযুক্তির এই স্যানিটাইজারটি ঢাকার সাভারে তৈরি করা হচ্ছে। আমরা কাচামাল আমদানি না করে শতভাগ গার্হস্থ্য কাঁচা এবং সহায়ক উপকরণ ব্যাবহার করি।এটির মূল্য কোরিয়াতে ৮৫০ টাকা এবং আমেরিকাতে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছানোর লক্ষ্যে দাম নির্ধারন করেছি ১০০ টাকা। তিনি আরো বলেন, আমরা আবেদন করেছি কিন্তু বাজারজাতকরণের জন্য এখনো বিএসটিআইয়ের অনুমোদন পায়নি। পণ্যটি বাজারজাতকরণের জন্য ঔষধ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনভারটেক বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর চুং ক্ষুণ অন, ডিরেক্টর ডাঃ এম এ জামান (সোবান) প্রমুখ।
এসএম আর/ওআ