কামরাঙ্গীরচরে চালু হচ্ছে ন্যায্য মূল্যের জনতার বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৬ অপরাহ্ন, ১৮ই জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ‘জনতার বাজার’ নামে ন্যায্যমূল্যের বাজার স্থাপন করা হচ্ছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর কুড়ারঘাট মেডিকেল মোড়ে জনতার এ বাজার প্রতিষ্ঠার জন্য এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল, জমজমাট বাণিজ্য মেলা
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, জনতার বাজার আপনাদের বাজার। এটি একটি স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা। বাজারে নানা পন্যের দাম অনেক চড়া। ক্রেতাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য আসা পর্যন্ত কয়েকটি হাত বদল হয়। তাতে পণ্যের দর কয়েক গুণ বাড়ে। মধ্যস্বত্বভোগীর এই দৌরাত্ম্য কমাতে এমন উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে। মূলত সরাসরি কৃষক ও ভোক্তাদের সংযোগ স্থাপন করে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই বিশেষ বাজার স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুরের পর কামরাঙ্গীরচরে এটি দ্বিতীয় বাজার। প্রাথমিকভাবে জনবহুল ৬ স্থানে এ জনতার বাজার স্থাপন করা হবে। জনতার বাজারের জন্য সফটওয়্যার নির্মাণ করা হয়েছে। সারা দেশের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা থাকবে। প্রতিটি পণ্য জেলা প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত দরে বিক্রি করা হবে। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে প্রকৃত পরিবহন খরচ এবং উদ্যোক্তাদের প্রদেয় যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ হবে। তবে ইচ্ছা করলে যে কোনো চাষি, খামারি বা উৎপাদনকারী তার উৎপাদিত পণ্য সরাসরি এনেও বিক্রি করতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ বাজারে অ্যাপসে বারকোড দিয়ে পণ্য কিনতে পারবেন, লাইন ধরতে হবে না। তবে চাইলে সরাসরিও পন্য কেনা যাবে। এতে সহায়তা করবে কৃষি বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ বাজার টেকসইভাবে পরিচালিত হবে এবং রাজধানীর মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।
এ বাজার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ থাকলে কোথায় জানাতে হবে প্রশ্নে তানভীর আহমেদ বলেন, কারো কোনো অভিযোগ থাকলে সফটওয়্যারে একটি জায়গা আছে সেখানে ভোক্তারা জানাতে পারবে। এছাড়া বাজারেরও একটি বক্স থাকবে। আমরা নিয়মিত বিরতিতে এগুলো চেক করবো।
বাজার সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে খেটে খাওয়া মানুষ অ্যাপস বুঝে না। বাজার সরাসরি যতোটা সহজ হবে ততো ভালো। এটা ভালো উদ্যোগ। তবে আমরা সবজির পাশাপাশি চাল, ডাল, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কম টাকায় চাই। আর জনবহুল হিসেবো এই কামরাঙ্গীরচরে আরো বাজার চাই আমরা।
আরও পড়ুন: ট্যানারি গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিজিবি-সেনাবাহিনী
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হুসাইন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার তানজিল পারভেজ, লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামসহ খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসডি/