‘সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচির কারণে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচির কারণে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে’

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তববাদী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি কারণে বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ পরিণতির মধ্যেও দেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ছিল। 

সোমবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-এর বাস্তবায়ন পর্যালোচনার জন্য দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন ।  

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তুলনামূলক বিচারে কাঙ্ক্ষিতমানে এমডিজি বাস্তবায়ন করায় বৈশ্বিকক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি, খাদ্য নিরাপত্তা, জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণ, শিশু ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার এবং মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, টিকাদানের আওতা বৃদ্ধি করা এবং সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসামান্য অগ্রগতি করেছে। 

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং বিশ্ব মিডিয়া এবং চিন্তাবিদগণ বাংলাদেশ নিয়ে নানা প্রশংসা করে থাকেন। গত এক দশকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) অনুয়ায়ী ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে। ২০ বছরের দীর্ঘ পরিকল্পনা দ্বারা রপ্তানিমুখী উৎপাদনের সাথে শিল্পায়নের কৌশলগত লক্ষ্য, কৃষিতে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন, ভবিষ্যতের পরিষেবা খাত, গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিকে প্রাথমিকভাবে শিল্পে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশটি পরিচালিত হবে। সেসাথে ডিজিটাল অর্থনীতি, গ্রামে শহুরে সেবা সম্প্রসারণ, দক্ষ জ্বালানি এবং অবকাঠামো, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্থিতিস্থাপক বাংলাদেশ গড়ে তোলা, বাংলাদেশকে জ্ঞানের কেন্দ্র দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

তিনা বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা ২০২২ এর জাতীয় সম্মেলনে আমরা অঙ্গীকার করব যে, সরকার, বেসরকারি খাত, উন্নয়ন অংশীদার, এনজিও, সিএসও এবং প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সমন্বিত ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত দিক বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচী/নীতি ও কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে আমরা সরকারের "রূপকল্প ২০৪১" বাস্তবায়নে সক্ষম হব।

এসময় নৌ-পরিবহন, প্রতিমন্ত্রী, খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী, মো. সাইফুল ইসলাম (মহিউদ্দিন), এমপি, সাবেক প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)'র সম্মনিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

এ আলোচনায় মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাবকে মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি)।

ওআ/