ব্যাচ পনেরো বন্ধুদের মিলনমেলা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
"এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে
সকাল-বিকেল বেলা
কত পুরোনো-নতুন পরিচিত গান
গাইতাম খুলে গলা"
হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের সাথে গল্প-আড্ডায় ও গানে এক মিলনমেলা আয়োজন। সাত বছর পর আবারো সেই স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে দেখা। ব্যাচ -১৫ সেই চিরচেনা মুখ গুলো কত বছর দেখা হয়নি। কে কোথায় আছে ? কেমন আছে ? শুনবার, জানবার ও দেখবার আগ্রহের কমতি নেই কারো কাছে। সাফল্যের ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ "আলহেরা একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় " এসএসসি -২০১৫ ব্যাচের হয়ে গেলো মিলনমেলা।
এসএসসি ২০১৫ এই ব্যাচটিতে বুয়েট, মেডিকেল, ঢাবি, জবি, রাবি, সাস্ট, রুয়েট, কুয়েট, বুটেক্স, বাকৃবি,ব্যবসায়ী, প্রবাসী সহ সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী,বিজেপি, ফায়ার সার্ভিস কি নেই এই ব্যাচটিতে। সফল এই ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন ক্ষাতে সফলভাবে নিজেদের অবস্থান করে নিয়েছে।
ঈদের চতুর্থ দিন আলহেরা একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হয়ে গেলো স্কুলের প্রথম কোন ব্যাচের জাঁকজমক রিইউনিয়ন। হুটহাট রোজায় যেমন প্ল্যান তেমনি কাজ। বিভিন্নভাবে সব পুরনো বন্ধুদের একত্রিত করার কাজটা ভাগাভাগি করে কমিটি গঠন কাজের শুরুটা করলো বুয়েট পড়ুয়া মুইন, সাস্ট পড়ুয়া হাসান, ঢাকা কলেজ পড়ুয়া প্রণব, জবি পড়ুয়া রাফিল, ঢাবি পড়ুয়া নাঈম সহ হাসিব, সানি, আনোয়ার, মারুফ, জাহিদ, রামিম, মুন্জুরুল ও জুয়েলরা।
ডেকোরেশন থেকে শুরু করে পুরো আয়োজনটি সুন্দর ভাবে করতে সুন্দর প্লানিং পর সবাইকে একত্রিত করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কাজটিও বাকি রাখেনি। সবার কাজের অগ্রগতির ফলে খুব সহজে রিইউনিয়নের খবরটি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। ব্যাচের প্রতিটি বন্ধুদের আগ্রহের ফলে কাজটি আরো সহজ হয়ে যায়।
দিনের শুরুতে সেইম কালো কালার টি-শার্ট বিতরণ। অনুষ্ঠানের পরবর্তীতে শুরু হয় স্মৃতিচারণ। সেই সাত বছর আগের সহপাঠীদের সুন্দর ও মজার স্মৃতি চোখ বন্ধ করেই ভেসে উঠে। জানা অজানা অনেক স্মৃতিচারণ পুরো আয়োজনটিকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। স্যারের দেওয়া 'বাবা সৌরভ ' ডাকনাম ভুলতে পারেনি কেউ। স্যারদের কড়া শাসন আশীর্বাদ মতো কাজে লেগেছে স্মৃতিচারণে বলছিলো সৌরভ। বন্ধুদের নিয়ে বিশাল লম্বা কবিতা বানিয়ে আবৃত্তি করলো মুঈন, জাহিদ। মোনায়েম স্মৃতিচারনে সবার অট্টহাসি হাসি যেনো থামাতেই পারছিলো না। মুঞ্জরুল, নাছিরদের স্মৃতিচারন যেনো আবার পুরনো দিনে সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো।
নানা আয়োজনে রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানটি এগোচ্ছিলো তার মধ্যে ইনডোর গেইম লুডু, ডার্ক সবার অংশগ্রহণ সেই সাথে বন্ধুদের সাথে আবারো খুনসুটিতে মেতে উঠেছিলো সবাই। রিইউনিয়নের অন্যতম শেষ আকর্ষণ ছিলো রেফেল ড্র যার দায়িত্ব ছিলো রাফিল ও মারুফ মাঝে। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবার কাছে গিয়ে লটারির টিকেট বিক্রির আনন্দ ছিলো অন্যরকম তেমনি যখন মাইকে লটারি কোড মিলাতে সবাই চাতক পাখির মতো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো তার আনন্দ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
পুরনো সময় আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু সেই সময়ের বন্ধুদের ভুলে থাকা যায় না। সাত বছর পর আবার সবার সাথে দেখা এতে বিন্দু মাত্র আন্তরিকতার ঘাটতি ছিলো না কারো কাছে। সবাই হাত মিলিয়ে মুখে হাসি নিয়ে কোলাকুলি করছিলো যেনো একরাশ ভালোবাসার ফুল ফুটছিলো। সবার সর্বাত্মক সহযোগিতায় নাচ, গান, স্মৃতিচারন, কবিতা আবৃত্তি , ইনডোর গেইম,রেফেল ড্র মধ্যে দিয়ে সুন্দর পরিপাটি রিইউনিয়নের সমাপ্তি হয়।
এসএ/