অস্তিত্বের সংকটে শ্রীলঙ্কার জনগণ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
শ্রীলঙ্কায় আজ যা হচ্ছে, তা যে হওয়ারই কথা ছিল, সে কথা অনেক আগে থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে আস্তে আস্তে দেশটির মানুষ বুঝতে পারছিল, অর্থনীতির অবস্থা খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেই খারাপ অবস্থা আরও খারাপ হতে হতে এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোষাগারে বলা যায় কোনো ডলারই আর অবশিষ্ট নেই। কিছুই আমদানি করা যাচ্ছে না। খাদ্য থেকে জ্বালানি-কিছুই নেই। চারদিকে নেই আর নেই। করোনা মহামারির ধাক্কা সামলানোর পাশাপাশি সরকারের কিছু ভুল সিদ্ধান্তে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক দুর্দশার মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। কয়েক মাস ধরে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের তীব্র সংকটে পড়েছে দেশটি। ব্যাপকভাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, চলছে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। এ পরিস্থিতিতে সরকার পতনের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। সেই সঙ্গে চলছে চরম রাজনৈতিক অচলাবস্থা। গত ৯ এপ্রিল থেকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন বিক্ষোভকারীরা। সরকার-সমর্থকেরা প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ কারীদের ওপর চড়াও হন। সরকারবিরোধী ব্যানার-প্ল্যাকার্ডে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। পরে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থানরত বিক্ষোভ কারীদের ওপরও হামলা চালান তাঁরা। এরপর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার সরকারবিরোধী রাস্তায় নেমে আসেন। সরকার- সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কলম্বোয় কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তাতেও কাজ না হলে শহরে কারফিউ জারি করা হয়। পরে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া আর জনসম্মুখে আসেননি।
এদিকে বিরোধী দলগুলোর আইন প্রণেতারা এরই মধ্যে আইনসভায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটা অনাস্থা প্রস্তাব তুলেছিলেন। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কাকে পদত্যাগ করা উচিত, তা নিয়ে শাসক দলে দুজনের সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ চলতে থাকে। আর এর মধ্যে জনগণের জীবনমান ভয়ংকরভাবে নামতে শুরু করে। শ্রীলঙ্কার জনগণের সামনে এখন অস্তিত্বের সংকট। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকে এখন তাদের একটি প্রশ্নই করতে হবে, যদি শ্রীলঙ্কা ও দেশের জনগণের প্রতি তাঁর কোনো শ্রদ্ধা থেকে থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তাঁর এবং সরকার থেকে তাঁর দলের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শ্রীলঙ্কার সব সংকট সমাধানের শুরুটা এখানেই।প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া যদি এখন শ্রীলঙ্কার দিকে ফিরে তাকান, তাহলে কী দেখতে পাবেন? কৃষিতে তাঁর নেওয়া জৈব সার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। যে দেশটি একসময় ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল, প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি উৎপাদিত হতো, যেখানকার চা-শিল্পের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ছিল সমৃদ্ধিশালী-সেই দেশটাকেই তিনি কত অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলেছেন। একইভাবে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে শ্রীলঙ্কা চরম ডলার–সংকটে পড়েছে, যা জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এক মাস পেরিয়েছে। এ প্রতিবাদ আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের দল বাস্তবিক অর্থে পরাজয়ের বৃত্তে প্রবেশ করতে শুরু করে নতুন অর্থমন্ত্রী নিয়োগের মধ্য দিয়ে। প্রেসিডেন্ট একসময় সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানাতে বাধ্য হন। কিন্তু সেই আহ্বানে কোনো দলই সাড়া দেয়নি। এরই মধ্যে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপ চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর আইনপ্রণেতাদের নিজেদের গভীরভাবে পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে দেশের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ সৃষ্টির পেছনে তাঁকে বলির পাঁঠা বানানোর প্রচেষ্টার জন্য ভাই গোতাবায়ার প্রতি ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। তিনি শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে হাজার হাজার সমর্থককে কলম্বোয় নিয়ে আসেন। মাহিন্দা যাতে প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন, সেই দাবি তাঁরা তোলেন। মাহিন্দার সমর্থকেরা একপর্যায়ে রাস্তায় রাস্তায় সহিংসতা শুরু করেন। তাঁরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনের সামনে এবং কলম্বোর গলে ফেস গ্রিন চত্বরে তরুণ বিক্ষোভকারীরা যে অস্থায়ী শিবির গড়েছিলেন, সেগুলোর ওপর হামলা শুরু করেন। অনেক বিক্ষোভ কারীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাতে সফল হন তাঁরা! গলে ফেস গ্রিন চত্বরে স্থাপিত বিক্ষোভকারীদের অস্থায়ী শিবির ধুলায় মিশিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকদের। কিন্তু পুলিশি হস্তক্ষেপে সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। কাঁদানে গ্যাস, জলকামানের সঙ্গে পিটুনি খেয়ে দাঙ্গাবাজেরা সরে যেতে বাধ্য হন।কিন্তু ‘গোতা বাড়ি যাও’ প্রতিবাদকারীদের শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন যে শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নয় বরং মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকদের হাতে আক্রমণের শিকার হলো-তাতে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়াটা অনিবার্য হয়ে যায়। শ্রীলঙ্কায় এরই মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জন্ম হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়, সেটা থেকে জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্ব প্রেসিডেন্টের। এই দুঃস্বপ্ন থেকে শ্রীলঙ্কার জনগণকে তিনি এবং একমাত্র তিনিই উদ্ধার করতে পারেন। এক দশক ধরে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ জেনে এসেছে তাদের দেশ ‘সিঙ্গাপুর’ হতে চলেছে। সে দেশের রাজনীতিকেরা নিতান্ত আপ্তবাক্য হিসেবে এই কথা বলে এসেছেন, ব্যাপারটা মোটেও তা না। রীতিমতো বিশেষজ্ঞ মত ও পরিসংখ্যান দিয়ে এই কথা শ্রীলঙ্কার মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এক সুখস্বপ্নের ঘোরে ছিল শ্রীলঙ্কার মানুষ। আচমকা স্বপ্ন ভেঙে তারা দেখছে তাদের সামনে অন্ধকার।
এক ভয়াবহ অনিশ্চয়তা তাদের গ্রাস করছে। প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাঁর ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপক্ষে এখনো প্রেসিডেন্ট। তাঁদের পরিবারের মোট সাত সদস্য সরকারের শীর্ষস্থানীয় পদে। অর্থাৎ গণতন্ত্রের নামে একটি পরিবারতন্ত্র সেখানে কায়েম করেছিল রাজাপক্ষে পরিবার।এক যুগ আগে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের শিশুসন্তানসহ তাঁর পরিবারের সবাইকে মাহিন্দা রাজাপক্ষের নির্দেশে মেরে ফেলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে তামিলদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছিল। এরপর থেকেই রাজাপক্ষে পরিবার বিরুদ্ধমত দমনে ছিল অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু এবার আর রাজাপক্ষেরা উন্মত্ত জনতাকে দমন করতে পারলেন না। কারণ, ক্ষুধা ও অভাবকে বন্দুকের মুখে বেশিক্ষণ দমন করে রাখা যায় না।আজকের এই অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য কোভিডকে দায়ী করেছে সরকার।মহামারিতে দেশটির পর্যটন- বাণিজ্য যা তাদের অন্যতম বৃহৎ বৈদেশিক আয়ের উৎস, তা প্রায় ধসিয়ে দিয়েছে-এটি সত্য। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটিই একমাত্র কারণ নয়। দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাই এর মূল কারণ। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য রাজাপক্ষে পরিবার জনতুষ্টিবাদী যেসব উদ্যোগ নিয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম হলো ভ্যাট এবং ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্ত। ভ্যাট প্রদানের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশে আনার পর সরকারের রাজস্ব আয় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সরকার আরও ঋণ নিতে বাধ্য হয়। এর ওপর মহামারির কারণে পর্যটন ও রেমিট্যান্স খাতে বিপর্যয় নামে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশে অর্গানিক কৃষি চালুর মতো একটি রোমান্টিক পদক্ষেপ নিলেন। কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেন। শ্রীলঙ্কায় সার আমদানিনিষিদ্ধ করলেন। এতে চালের উৎপাদন ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেল। একসময় চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ শ্রীলঙ্কা চাল আমদানি করতে বাধ্য হলো।
সর্বোপরি চালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকল। জিনিস পত্রের দাম বাড়ার পর মানুষ রাস্তায় নামলে তাদের দমন করা হলো।ধারাবাহিকভাবে পুঞ্জীভূত হওয়া সেই জন ক্ষোভ আজ বিস্ফোরিত হয়েছে। ক্ষমতার প্রাসাদে বঞ্চিতরা আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে।মাহিন্দার সমর্থকদের হাতে মার খাওয়ার পর আইনপ্রণেতারা ফেস দ্য গলেতে যান সংহতি জানাতে। এ সময় বিক্ষোভ কারীরা তাদের কাউকে কাউকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করেন, আবার কাউকে কাউকে স্বাগতও জানান। ভবিষ্যতে সরকার গঠনের দাবিদার এই আইনপ্রণেতারা। তঁাদের নিজেদের আত্মমূল্যায়ন এবং নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের সময় এসেছে। এদিকে ২০১৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় সবার আগে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া শ্রীলঙ্কার করুণ এ পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের আশঙ্কা- তারাও বুঝি একই দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে অন্যান্য দেশের প্রসঙ্গ না তুলে বলা যায়, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতির কাঠামো একেবারেই আলাদা। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় বাড়ছে; কৃষি ভালো করছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভও রয়েছে। তা ছাড়া রপ্তানিও দিন দিন বাড়ছে। অর্থনীতিতে বিদ্যমান ইতিবাচক ধারা বজায় থাকলে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিতে পড়ার শঙ্কা নেই। তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে কঠিন এক সময় অতিক্রম করছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে এখন শুধুই হাহাকার। জ্বালানি তেল, খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ কেনার জন্য ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে সাধারণ মানুষ। ৭৪ বছর আগে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে কখনও এতটা দুরবস্থায় পড়েনি দেশটি। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া যদি এখন শ্রীলঙ্কার দিকে ফিরে তাকান, তাহলে কী দেখতে পাবেন? কৃষিতে তাঁর নেওয়া জৈব সার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। যে দেশটি একসময় ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল, প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি উৎপাদিত হতো, যেখানকার চা-শিল্পের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ছিল সমৃদ্ধিশালী-সেই দেশটাকেই তিনি কত অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলেছেন।
একইভাবে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে শ্রীলঙ্কা চরম ডলার-সংকটে পড়েছে, যা জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এক মাস পেরিয়েছে। এ প্রতিবাদ আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে শ্রীলঙ্কার জনগণের সামনে এখন অস্তিত্বের সংকট। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকে এখন তাদের একটি প্রশ্নই করতে হবে, যদি শ্রীলঙ্কা ও দেশের জনগণের প্রতি তাঁর কোনো শ্রদ্ধা থেকে থাকে, তাহলে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তাঁর এবং সরকার থেকে তাঁর দলের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শ্রীলঙ্কার সব সংকট সমাধানের শুরুটা এখানেই। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আর্থিক সঙ্কটের এই সময়ে দেশের জনগণকে জাতিগত ও ধর্মাীয় বিভেদ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন। একে আর্থিক সঙ্কটের এই কঠিন সময়ে দেশে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, অন্যদিকে এখন যদি ধর্মীয় ও জাতিগত সঙ্কট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তবে, পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে যাবে।
লেখক: রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট।
এসএ/