গলাচিপা ভূমি অফিসে দিন-রাত উত্তোলিত থাকে জাতীয় পতাকা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


গলাচিপা ভূমি অফিসে দিন-রাত উত্তোলিত থাকে জাতীয় পতাকা

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম রয়েছে। যদিও এ নিয়ম ভঙ্গ করতে দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা সদর পৌর ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষকে। অফিস প্রাঙ্গণে সন্ধ্যারপর উড়তে দেখা গেছে জাতীয় পতাকা। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় চলাচলকারীরা। বুধবার (১৮ মে) রাত ৮টায় সরেজমিনে গলাচিপা সদর পৌর ভূমি অফিসে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটো বলেন, ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা পেয়েছি। এই পতাকার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। জাতীয় পতাকা একটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। এই পতাকার যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। গলাচিপা সদর পৌর ভূমি অফিস আ.লীগ অফিস সংলগ্ন হওয়ায় প্রায় সময় রাতে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়। অফিস টাইমের পর পতাকা উত্তোলন বিষয়টি গুরুতর অপরাধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ধলা বলেন, স্বাধীন দেশে জাতীয় পতাকার অবমাননা করার অর্থ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে অশীকার করা, স্বাদীন বাংলাদেশকে অশীকার করা। সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকার সম্মান নষ্ট হয়। তাহলে তাদের কাছ থেকে নতুন প্রজন্ম কী শিখবে ? প্রায় সময়ই গলাচিপা সদর পৌর ভূমি অফিসে সন্ধ্যার পর জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায়।

গলাচিপা সদর পৌর ভূমি অফিস উপ-সহাকারী ভূমি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, পতাকা নামাতে মনে নেই। কাজটা অন্যায় পতাকাতো নামানোর কথা ছিল পিওনের আপনারা একটু বসেন পতাকা এখনই নামাতে আছি। পরে অফিসের পিওন সুলতান তাড়াতাড়ি বাহিরে গিয়ে জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, জাতীয় পতাকার অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি আমি গুরুত্বের সহিদ দেখতে আছি। যদি এই ধরনের ঘটনা হয়ে থাকে তদন্ত পূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এসএ/