৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে ডুবল নিচু এলাকা,ফ্লাইওভারেও পানি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে ডুবল নিচু এলাকা,ফ্লাইওভারেও পানি

বর্ষা আসতে এখনও মাস খানেক বাকি। এরই মধ্যে তীব্র তাপদাহে জল ঢালছে হালকা বৃষ্টি। শনিবার (২১ মে) সকালে কালবৈশাখীর চক্কর শেষে শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি। তবে হাঁটুজলে ডুবে অলিগলিতে সেই স্বস্তির বৃষ্টি ডেকে আনলো অস্বস্তি।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী ২১ মে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার। প্রথম দিকে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়ের পর সাড়ে ৮টা থেকে ঝড়ে এক পশলা বৃষ্টি। এরপর থেকেই গুঁড়ি
গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ে। বেলা সাড়ে ১২টার পর রোদের দেখা মিলেছে। তবে হালকা বৃষ্টি পাতের পরপরই চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, রসুলবাগ আবাসিক, সল্টগোলা ক্রসিং ৫ নম্বর গেট, ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া পিডিবি কলোনী এলাকা, বাদুরতলা, জঙ্গীশাহ মাজার গেট, বড় গ্যারেজসহ নিচু এলাকগুলোতে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি অলিগলির সড়কে জমায় ভোগান্তিতে পড়ে সেখানকার বাসিন্দারা। এ সময় বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।

এদিকে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অপ্রতুল হওয়ায় বৃষ্টিতে পানি জমেছিল আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের ওপরেও। তবে সকাল সাড়ে ১০টার পরে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস দুপুর ৩টা নাগাদ জানানো সম্ভব হবে।

এদিকে হালকা বৃষ্টিতে জল জমাট বাধায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চকবাজার এলাকায় বাসিন্দার এখলাস উদ্দিন বলেন, বেশিরভাগ নালা- ড্রেন অপরিষ্কার থাকায় অল্পবৃষ্টিতেও হাঁটু পানি জমে যাচ্ছে। বর্ষার আগে
পরিষ্কার করা না হলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হবে।

তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) দায়িত্বশীলরা বলছেন, নগরের ছোট খাল ও ড্রেনগুলোতে পরিষ্কারের কাজ চলমান রেখেছে সংস্থাটি। চসিকের উপ-প্রধান কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি পৃথক টিম বিভিন্ন স্থানে ড্রেন ও নালা পরিষ্কারে কাজ করছে। কিন্তু পরিষ্কারের পর সেখানে আবারও ময়লা ফেলা হচ্ছে। রমজানের শেষ দিকে চকবাজার কাঁচা বাজার সংলগ্ন খালটি পরিষ্কার করেছি আমরা। কিন্তু বাজারের ব্যবসায়ীরা
আবারও ময়লা ফেলে খালটি ভরাট করে ফেলেছে।

জি আই/