নবীগঞ্জে বসেছে লিচুর মেলা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


নবীগঞ্জে বসেছে লিচুর মেলা

শুরু হয়েছে মধুমাসের মধুর মৌসুম। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহর জুড়েই শুধু লিচু ফলের মেলা। লিচুর গন্ধে মৌ মৌ করছে চারপাশ। লিচু ফলে জ্যৈষ্ঠ মাসকে মিষ্টি মধুর ফলের উপস্থিতির কারণেই মধু মাস বলা হয়। মধু মাস বলতে জৈষ্ঠ মাসকে বোঝানো হলেও বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয় ফল পাকা, বাজারে আসে অনেক জাতের লিচু ফল। শুধু আম-কাঁঠালই নয়, মধু মাসে লিচু, আনারস, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন জাতের ফলফলাদির সমাহারে বাজারগুলো সয়লাব হয়ে যায়। বিভিন্ন ভিটামিনযুক্ত এ ফল খেয়ে আমরা যেমন ভিটামিনের অভাব পূরণ করি, তেমনি সুস্বাদু হিসেবেও ফল খেয়ে থাকি। আবার শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কাছেই এসব ফলের সমাদরের কমতি নেই। জৈষ্ঠ্যের শুরুতেই নবীগঞ্জ বাজারে এসেছে লিচু, কাঁঠাল, আমসহ আরো কিছু মিষ্টি মধুর ফল। দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। ঘরে ঘরে এখন দেশি ফলের বেশি মজা অনুভব করছেন সবাই। অতিথি আপ্যায়নেও কদর বেড়েছে ফলের। অবশ্য অতিথিরাও আনছেন ফলের ঝুড়ি বা ঠোঙা। 

সোমবার (১৩ মে) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ফলের বাজার জমজমাট। চলছে দারুণ বেচাকেনা। অলিগলিতে ভ্যানগাড়িতে করেও বিক্রি করছেন লিচুসহ বিভিন্ন ধরনের ফল। ফল বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতেও। বাংলার ঐতিহ্য মৌসুমি ফল লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে। গাছে পুরোদমে লিচু এখনো ঝুলছে। লিচু চাষি আর ব্যবসায়ীরা চারদিক থেকে এনে বাজারে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করছে। পাইকারী ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লিচু বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এছাড়া বাজারে আসা লিচুর আকারভেদে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। 

নবীগঞ্জ শহরের লিচু ব্যবসায়ি রুবাদ মিয়া জানায়, ‌‘প্রায় ১০ বছর যাবত আমি এ ব্যবসা করছি। এ বছরও ১২ দিন হল শ্রীমঙ্গল ও নরসিংদীর মকন্দ পুর থেকে লিচু কিনে ব্যবসা শুরু করছি। সকাল ৮টায় লিচু বিক্রি দিয়ে মৌসুমি এ ফলের বাজার শুরু হয় নবীগঞ্জ নতুন বাজার মোড় থেকে। লিচুর দখলে রয়েছে দেশের বিভিন্ন বাজার গুলো।’ 

নবীগঞ্জ থানা পয়েন্টর লিচু ব্যবসায়ি আব্দুল আলীম জানান, ‘প্রতি দিন তারা ৪-৫ জন ব্যবসায়ি সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে ১০ হাজার লিচু ২১ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন।’ 

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লিচুর ভালো ফলন হয়েছে এবং দাম পেয়ে কৃষকরাও খুশি বলে জানান লিচু ব্যবসায়ীরা। 

খুচরা ব্যবসায়ি লিটন দাশ, নাজু মিয়া, চঞ্চল ও টিটু মিয়াসহ কয়েক জন জানায়, ‘প্রতি দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৮-১০ হাজার লিচু বিক্রি করে তারা। ১০০টি লিচু ২২০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে।’ 

নবীগঞ্জ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা গেছে, ‘নবীগঞ্জ উপজেলায় কম-বেশি লিচু পাওয়া জায়। লিচু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলা থেকে লিচু সংগ্রহ করে নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গুলোতে খুচরা মূল্যে বিক্রি করছেন।’

এসএ/