দীর্ঘ দিন বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে ফসলি জমি, ব্রীজ, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দীর্ঘ ৩ মাস ধরে একই স্থান থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন হচ্ছে। ফলে নদীর পাড়সহ হুমকির মুখে পড়ে রয়েছে ফসলি জমি, ব্রীজ, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ সরকারি আইন অমান্য করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ধনবাড়ী উপজেলার সয়া ব্রীজের উত্তর পার্শে সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আওনা ইউনিয়নের ইউনিয়নের পঞ্চাশী গ্রামের ঝিনাই নদী একই স্থান থেকে ২ টি মেশিন বসিয়ে দীর্ঘ ৩ মাস ধরে বালু উত্তোলন করছেন আঃ মালেক। সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করছে বিভিন্ন এলাকায়।
বর্তমানে একই গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে লুৎফর রহমানের পুকুর ভরাটে বালু উত্তোলনের চুক্তি নিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর এ বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়ে রয়েছে ফসলি জমি, ধনবাড়ী সয়া বাজার- সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ও ডোয়াইল ইউনিয়নের যোগাযোগের সয়া ব্রীজ, সয়া বাজার, মসজিদ, সয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ড্রেজার বন্ধ করে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পঞ্চাশী গ্রামের কৃষক বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে তাদের ফসলি জমি। জমির মাটি ভেঙে চলে আসছে নদীর মধ্যে।
চায়ের দোকানদার সুবাহান জানান, দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করা হয়। মাঝে মধ্যে দেখি সরিষাবাড়ী থেকে কারা আসে, কি কি কথা বলে টাকা নিয়ে চলে যায়। সারাটা দিন ভাই শটর শটর শব্দ হয়। আজকে সকালে নদীতে পানা আসছে তাই এখনো চালায়নি। বিকেলে পানা সরিয়ে আবার চালাবে।
সয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া বলেন, আমরা স্কুলের আসার সময় মেশিনের প্রচুর শব্দ শুনি। শব্দে আমরা ঠিকমত ক্লাস করতে পারিনা।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসলাম হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, যদি ধনবাড়ী উপজেলা সীমানায় বালু উত্তোলন হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আর যদি নদীটি সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমানায় থাকে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্রীজ ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে যৌথ অভিযান করার ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা জানান, ‘বালু উত্তোলনের ঠিকানা পাঠান আমাকে। আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিব।’
এসএ/