পাল্টে যাচ্ছে বিশ্বের আর্থিক হিসাব-নিকাশ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পাল্টে যাচ্ছে বিশ্বের আর্থিক হিসাব-নিকাশ

দুই হাজার বিশ সালের প্রথম প্রান্তিকে সারা বিশ্বই ছিল লকডাউনে। স্বাভাবিকভাবেই তখন প্রায় সব দেশের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। মন্দার কবলে পড়ে বিশ্ব। সেখান থেকে বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু আবারও মন্দার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি। উন্নত দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় সবচেয়ে অব্যর্থ অর্থ প্রয়োগ করেছে, সেটা হলো, নীতি সুদহার বৃদ্ধি। কিন্তু এতে অর্থনীতির প্রাণ অর্থাৎ চাহিদাই ব্যাহত হচ্ছে। চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার বৃদ্ধি করায় ওয়াল স্ট্রিট প্রায় খাদের কিনারে চলে গেছে।গত মাসে ডয়চে ব্যাংকের অর্থনীতিবিদেরা সতর্ক করে দিয়েছেন, ‘আমরা বড় ধরনের মন্দার কবলে পড়তে যাচ্ছি।’ ব্যাংক অব আমেরিকা অতটা নিরাশাবাদী না হলেও বলেছে, চলতি হাওয়ার মধ্যে একধরনের মন্দাভাব আছে। বড় বিনিয়োগ ব্যাংকগুলোর মধ্যে গোল্ডম্যান স্যাকস কিছুটা আশাবাদী হলেও পরিস্থিতি নিয়ে উৎফুল্ল নয়। তাদের ভাষ্য, শ্রমবাজারে সংকট থাকায় মন্দার যথেষ্ট ঝুঁকি আছে।এদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সম্প্রতি নীতি সুদহার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বৃদ্ধি করেছে। এমনিতেই সে দেশে এখন গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মনে করছে, নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারে।অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতির চালিকা শক্তি চীনের অবস্থাও বিশেষ ভালো নয়। চীনের সঙ্গে অনেক দেশের অর্থনীতির প্রত্যক্ষ যোগ আছে। ফলে চীনের অর্থনীতির গতি হারানোর কারণে অনেক দেশের পরিস্থিতির অবনতি হবে।সবচেয়ে বড় কথা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা আবারও বিঘ্নিত হয়েছে। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা কেবলই মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল।

কিন্তু তখনই শুরু হলো এই যুদ্ধ। ফলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে। জ্বালানির দামও আকাশছোঁয়া। ফলে সবকিছুর দামই এখন বাড়তি।আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২২ সালে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ এবং উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইতিহাস থেকে যদি শিক্ষা নিতে হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতির এই ধারা থেকে এটা স্পষ্ট, বিশ্ব অর্থনীতি আবারও সংকোচনের দিকে এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যতবার মন্দা হয়েছে, তার মধ্যে একবার ছাড়া প্রতিবারই মন্দার আগে মূল্যস্ফীতি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাম্প্রতিক পূর্বাভাসেও তেমন ইঙ্গিত মিলেছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস আইএমএফ এর আগে দিয়েছিল, ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি হিসাবে নিয়ে তা থেকে পুরো ১ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে দিয়েছে তারা।

আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর পশ্চিমা অবরোধ আরও কঠোর করা হলে বৈশ্বিক উৎপাদনে আবারও বড় ধস নামবে।সংস্থাটি বলেছে, জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলো তে সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে পারে।আইএমএফের হিসাবে, এ বছর ইউক্রেনের অর্থনীতি ৩৫ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। রাশিয়ার সংকোচন হবে সাড়ে ৮ শতাংশ। আর এই দুই দেশসহ ইউরোপের অর্থনীতির সার্বিক সংকোচন হবে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। কিন্ত রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধ শুরুর জের ধরে মস্কো আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং বাজারব্যবস্থা থেকে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে।অন্যদিকে পশ্চিমা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের নীতিগত অবস্থানে একটি বড় পরিবর্তন ঘটিয়েছে। 

আজকের এই মুদ্রাস্ফীতি একটি নিছক ক্ষণস্থায়ী ঘটনা এবং এটি আপনা-আপনিই ঠিক হয়ে যাবে-কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো শেষমেশ এই ধারণা বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন ইচ্ছাকৃতভাবেই উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বৈশ্বিক আর্থিক অবস্থাকে কড়াকড়ির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। এই কড়াকড়িতে পরিবারগুলোর ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে চাপ যোগ হচ্ছে। এইভাবে একই ধরনের চাপ যুক্ত হচ্ছে বৃহত্তর অর্থনীতিতে।বিশ্বের দ্বিতীয় এবং রাশিয়ার চেয়ে ১০ গুণ বড় যে চীনা অর্থনীতি, সেটির গতিও সি চিন পিং সরকারের জিরো কোভিড কৌশলের কারণে শ্লথ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে আমাদের ওপর আরেকটি বৈশ্বিক মন্দা ধেয়ে আসতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে সেটি হবে দুই হাজার বিশ থেকে দুই হাজার একুশ সালের লকডাউনজনিত খুদে মন্দার পর আকস্মিকভাবে নেমে আসা মহামন্দা। এখন প্রশ্ন হলো, এই মন্দা কতটা খারাপের দিকে যাবে? এমন কোনো নীতি কি আছে যা সেটিকে এড়াতে পারবে বা নিদেনপক্ষে এর তীব্রতা কমিয়ে আনতে পারবে? চীনে নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, কোভিড-১৯ সামাল দেওয়ার বিষয়ে ঢিলেঢালা অবস্থান নিলে তা সংক্রমণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে এই ধরনের ঘটনা ইউরোপে দেখেছি। বিশেষত যুক্তরাজ্যে দুই হাজার বিশ থেকে দুই হাজার একুশ সালে সেখানে প্রথমে ঢিলেঢালা অবস্থান নেওয়া হয়েছিল এবং তার কারণে অবস্থার অস্বাভাবিক অবনতি হয়। সেখানে তারা আচমকা কঠোর লকডাউন আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিল। সেই দিক থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্ক থাকার ব্যাপারে চীনের সমালোচনা খুব কমই করা যেতে পারে। জ্বালানি ও খাদ্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়া এবং প্রকৃত আয় কমে যাওয়া ভোক্তাদের ওপর চরম আঘাত হেনেছে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে তাদের নতুন কোনো রোমাঞ্চকর সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবতে হচ্ছে। যদি দীর্ঘমেয়াদি মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং সেই মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা না যায়, তাহলে গোটা বিশ্বের আর্থিক হিসাব-নিকাশ উল্টে যাবে।

এ পর্যন্ত যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বোঝা যায়, করোনাভাইরাসের সর্বশেষ বৈশ্বিক ধরন অমিক্রন এতটাই সংক্রমণশীল যে এমনকি লকডাউন দিয়েও এর ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায় না। এই ধরন আগের ধরনটির তুলনায় কম প্রাণঘাতী বলে মনে হয়। ফলে অমিক্রন ঠেকাতে লকডাউনের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াকে যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয় না। চীনের এই অদূরদর্শী লকডাউন ভিত্তিক জিরো-কোভিড কৌশলটি ইতিমধ্যে দেশটির অর্থনীতিকে দুর্বল করে ফেলেছে। সাম্প্রতিকতম বাণিজ্য তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চীনা আমদানি ব্যতিক্রমীভাবে নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। যেসব লক্ষণ কোনো দেশের অর্থনীতির দুর্বলতার আভাস দেয়, তার মধ্যে এটি অন্যতম। চীন যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, অর্থনীতি ও বাজারের বাইরেও তার প্রভাব রয়েছে। চীনের ক্ষমতাসীন একদলীয় নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের জন্য ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করে তার শাসনকে বৈধতা দিয়েছে। কিন্তু ক্রমাগত অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বল হতে থাকলে সেই অলিখিত চুক্তি সহজে বেশি দিন টিকিয়ে রাখা যায় না। চীনা সরকারের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার ব্যতিক্রম ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা। অতীতে তারা সময়োপযোগী পদ্ধতিতে বড় বড় সম্ভাব্য সমস্যা মোকাবিলা করেছে। কিন্তু আজ তারা তা করছে না বলে মনে হচ্ছে। যদি শিগগিরই তারা তাদের জিরো-কোভিড নীতি থেকে সরে না আসে, তাহলে তা তাদের অর্থনীতির জন্য তো বটেই; বাকি বিশ্বের জন্যও আরও অনেক দুঃখ বয়ে আনবে। চীনের বাইরে বাকি বিশ্বে দুটি প্রধান বিষয় ঠিক করবে বিশ্বের আগামী দিন কেমন যাবে। সে দুটি বিষয়ের একটি হলো প্রধান প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি এবং অপরটি হলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন আসলে কী করতে যাচ্ছেন, তা তিন মাস আগে তিনি যখন ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিলেন, তখনো আগে থেকে বোঝা যায়নি, আজও বোঝা যাচ্ছে না। 

এদিকে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের আকস্মিক আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে, পুতিন হিসাব-নিকাশে ভুল করেছেন। কারণ এই যুদ্ধ শিগগিরই তাঁর পক্ষে শেষ করা নাও হতে পারে এবং তাঁর মূর্খতার জন্যই তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হতে পারে। যদিও ক্রেমলিনপন্থী অনেকে এটিকে অসম্ভব মনে করেন জ্বালানি ও খাদ্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়া এবং প্রকৃত আয় কমে যাওয়া ভোক্তাদের ওপর চরম আঘাত হেনেছে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে তাদের নতুন কোনো রোমাঞ্চকর সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবতে হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ ভোক্তামূল্য সূচক দেখাচ্ছে, সেখানে মূল মুদ্রাস্ফীতি এখনো ৬ শতাংশের ওপরে। পরিষেবা-খাতে মূল্যস্ফীতি বাড়ছেই। এ অবস্থায় ফেডারেল রিজার্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যে কড়া অবস্থানে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল, সেই অবস্থা থেকে তারা শিগগিরই সরে আসবে বলে মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও অর্থনৈতিক পতন ইউরোপের মতো গুরুতর হয়ে ওঠেনি, তবে এটি তাৎপর্যপূর্ণ চেহারা নিয়েছে এবং আর্থিক ব্যবস্থায় কড়াকড়ি তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার বীজ বপন করতে পারে। তাহলে আমরা কি নতুন একটি বৈশ্বিক মন্দার দিকে যাচ্ছি? ফেডারেল রিজার্ভ, চীনা নেতৃত্ব এবং ক্রেমলিনের বিচ্ছিন্ন নেতৃত্বের ওপর তার অনেক কিছু নির্ভর করছে।সাম্প্রতিক তথ্যমতে পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে নেপাল ? উঠছে নানান প্রশ্ন । অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কায় যেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল , ঠিক অনুরূপ সুর শোনা যাচ্ছে নেপাল থেকে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে দিনের পর দিন ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এককথায় নেপালের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে তীব্র পতন ঘটেছে। পাশাপাশি এই দেশে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। এদিকে গত ১১ বছরে সবচেয়ে বড় মন্দায় পড়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মন্দার সূচনা ফেব্রুয়ারি থেকে। 

প্রথম প্রান্তিকে জিডিপির পতন হয় ৫ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমেছে ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ। করোনার কারণে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ সবশেষ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, যেমনটি ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়েও খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে এই ব্লকের অর্থনৈতিক অবস্থা।২০০৬ সালে বেলুনের মতো ফুলে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রের গৃহায়ণ খাতের পতন থেকেই শুরু হয়েছিল ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট। ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী সেই অর্থনৈতিক সংকটের সবচেয়ে বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থবাজারে। দেউলিয়া হয় অসংখ্য কোম্পানি। সেই সংকট থেকে উত্তরণ হওয়ার যুগ পার না হতেই আরেকটি বড় সংকটে বিশ্ব। প্রাণহানির বিষয়টি ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটে প্রাসঙ্গিক ছিল না। সেই সঙ্গে ঘরবন্দী হওয়ার ব্যাপারও ছিল না। তাই বলা যায়, অতীতের সব সংকটের চেয়ে করোনা মহামারির কারণে যে সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে, তা একেবারেই ভিন্ন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে থাকে। তবে এখনও আইএমএফ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এমডি মনে করেন, করোনার ধাক্কায় এমনিতেই গোটা বিশ্বের অর্থনীতি দুর্বল অবস্থার মধ্যে চলছে। এর মধ্যে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা আন্