পাইকগাছায় ৩৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পাইকগাছায় ৩৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ

খুলনার পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে ৩৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি। পাটের বর্তমান বাজার মূল্যে ভালো থাকায় পাটের চাষ বড়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে পাটের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন পাট চাষিরা।

জানা যায়, একটা সময় ছিলো যখন উপজেলার  সব এলাকায় পাটের চাষ হতো। এমন কোন পরিবার বা জমি ছিলো না যেখানে পাটের চাষ হতো না। পাটের বাজার মূল্যে কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পাটের চাষ ও কমে আসে। পাটের জমিতে করা হয় নার্সারি। যেসব জমিতে পাটের চাষ করা হতো এবং পাটের ভালো উৎপাদন হতো সেসব জমিতে এখন নার্সারি গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে এই এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল পাট চাষ। 

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে পাটের বাজার মূল্যে বৃদ্ধি হওয়ায় এবং সরকার পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের নানা ভাবে সহায়তা প্রদান করায় আবারও পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। 

কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, পাট চাষ করলে জমি উর্বর থাকে। শস্য চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পাট খড়ি জালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। পাট দিয়ে এখন বিভিন্ন প্রকার পাটজাত পণ্য তৈরি করা যাচ্ছে বাজার যার যথেষ্ট চাহিদা এবং কদর রয়েছে। ২ দশমিক ১ মেট্রিক টন (১২ বেল) পাটের উৎপাদন হতে পারে বলে জানান কৃষি বিভাগের এ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। 

সহকারী পাট কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ কুমার বৈদ্য জনবাণীকে জানান, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় ৬৩৩ একর জমিতে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জনবাণীকে বলেন,পাট চাষের উপযুক্ত জমিতে নার্সারি গড়ে ওঠায় পাট চাষ কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে  পাটের বহুমুখী ব্যবহার ও বাজার মূল্যে ভালো থাকায় কৃষকরা আবার পাট চাষে এগিয়ে এসেছে। এবছর ৩৫৫ হেক্টর লক্ষ্য মাত্রার স্থলে ৩৭৫ হেক্টর জমিতে বিজেআরআই তোষা পাট-৮ চাষ হয়েছে।

এসএ/