চালের বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চালের বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

কেউ চালের বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 

তিনি বলেন, ধান কিনে মজুত করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সবাই প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছে, ভাবছে ধান কিনলেই লাভ। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা ভালো পরিণতি আনবে না। 

রবিবার (২৯ মে) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিসকক্ষে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকাংশ মিলমালিক বাজার থেকে ধান কিনলেও তাঁরা উৎপাদনে যাচ্ছেন না। বাজারে নতুন চাল এখনো আসছে। এখন বাজারে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে, তা গত বছরের পুরোনো। তাহলে নতুন ধান যাচ্ছে কোথায়? মিলমালিকদের প্রতি এ প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।’

এ অবস্থা চলতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কে কত পরিমাণ ধান কিনছেন এবং কে কত পরিমাণ চাল ক্রাসিং করে বাজারে ছাড়ছেন, তা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের রিপোর্ট আকারে পাঠাতে হবে। কেউ যাতে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দল করেন সেটি বিবেচ্য নয়, কেউ চালের বাজার অস্থিতিশীলের চেষ্টা করলেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বিভিন্ন করপোরেট হাউস ধান-চালের ব্যবসা শুরু করেছে। তারা বাজার থেকে ধান কিনে মজুত ও প্যাকেটজাত করছে। প্যাকেটজাত চাল বেশি দামে বাজারে বিক্রিও হচ্ছে। এ সময় ধান-চালের ব্যবসায় সম্পৃক্ত করপোরেট হাউসগুলোর সঙ্গে দ্রুততম সময়ে বৈঠক করতে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।’

ভারত থেকে গম দেওয়া বন্ধ হচ্ছে গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। অথচ শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে গম দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। 

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিক।

ওআ/