বিয়ে পর মেঘনা হয়ে গেল মেঘনাদ, বরের মাথায় হাত!
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রেমে পড়েছিল চুল দেখে। আর সেটাই কাল হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার যুবক অলোক কুমার মিস্ত্রির জীবনে। অবশেষে মেয়ে ভেবে বিয়ে করলেন এক ছেলেকে। ফেসবুকে মেঘনা নামে প্রোফাইলে কালো হরিণ চোখ আর মায়া ভরা মুখ দেখে প্রেমে পড়েছিলেন? পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের ওই যুবক। আর তারপর ওই মেঘনা নামের যুবতীকে বিয়ের পরই সামনে এলো আসল সত্যি।
জানা গেছে, ভারতের ওড়িশার ভদ্রক জেলার মেঘনা মন্ডলের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় উত্তর ২৪ পরগনার অলোক কুমার মিস্ত্রির। প্রথমে শুরু হয় মেসেঞ্জারে হাই- হ্যালো দিয়ে। তারপর মাত্র ২ সপ্তাহের মধ্যে দুজন দুজনের প্রেমে পড়েন। তারপর ওই মেঘনা নামের তরুণীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় অলোক।
এরপর ওড়িশার জাজপুর জেলায় চান্দিসোলে চলে যান অলোক। মেঘনা ও আগে থেকে নিজের মা- বাবাকে বিয়ের বিষয়ে জানিয়েছিল অলোকের মামার বাড়ি বাসুদেবপুরের ফাসিয়াতেই পারিবারিকভাবে মেঘনা আর অলোকের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তারপর বিয়ে হয় অলোক-মেঘনার। পরের দিন সন্ধ্যায় ছিল প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান আর সেখানেই ঘটে আসল বিপত্তি। মেঘনার এক আত্মীয় তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মুখ ফসকে তাঁকে মেঘনাদ বলে ডেকে ফেলেন। আর তাই অবাক হয়ে যান অলোক ও তাঁর পরিবার।
এরপর ওই মহিলার আত্মীয় জানান, মেঘনা নয়, বধূর আসল নাম মেঘনাদ। সম্পর্কে তাঁর ভাইপো। এরপরেই অলোকের পরিবার ও স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। মেঘনাদের পোশাক খুলে নিয়ে তার চুল ও কেটে দেয় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে মেঘনাদ ও তাঁর পরিবারকে উদ্ধার করে। এনিয়ে এলাকায় রসালো আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এসএ/