বাইডেনের এশিয়া সফর এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই প্রথমবার এশিয়া সফর করলেন জো বাইডেন। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সাথে সম্পর্ক জোরদার ও ওয়াশিংটনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তার এ সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে উত্তর কোরিয়া। সিউল ও টোকিওতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় কয়েকটি ইস্যুতে আলোচনা করবেন বাইডেন। তাছাড়া জাপানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোয়াড নেতাদের সম্মেলনেও যোগ দেবেন। এতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক রূপরেখা গঠন করা হবে। কোয়াডভুক্ত দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সোগাং ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক জায়েচুন কিম বলেছেন, বাইডেনের এশিয়া সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের জন্য এশিয়ান প্রধান মিত্রদের সমর্থন বাড়ানো।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সম্পর্কে পরিবর্তন আসছে। জাপান-যুক্তরাষ্ট্র যে জোট তৈরি করা হচ্ছে এবং হাতের কাছে বেইজিংকে রেখে দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে ওয়াশিংটনের দিকে ঝুঁকছে তা মোটেও ভালোভাবে নেবে না চীন। ওয়াশিংটনের যে ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি আছে তা ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত।এ অঞ্চলে নিরাপত্তা সম্পর্কিত, অর্থনৈতিক এবং কূটনীতিক যোগাযোগকে শক্তিশালী করছে যুক্তরাষ্ট্র। ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। এতে ১০টি পয়েন্টের কথা বলা আছে যা আগামি এক বা দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে চায় ওয়াশিংটন। এরমধ্যে আছে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগীতা বৃদ্ধি। এতে বলা হয়, আমরা আমাদের আঞ্চলিক কৌশলকে তিন দেশের সমন্বয়ে বাস্তবায়ন করবো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
তবে এই কৌশলের প্রধান উদ্দেশ্য যে চীনকে মোকাবেলা করা, সেখানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি’র নির্বাহী প্রধান রিচার্ড ফন্টেইনের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘ মেয়াদে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট করে তুলবে। চীনকে চাপে ফেলতে তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিজের সঙ্গে বেঁধে ফেলতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। চীনবিরোধী জোট হিসেবে পরিচিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ঘিরে গঠিত কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগের (কিউএসডি বা কোয়াড) শীর্ষ নেতারা মঙ্গলবার জাপানের টোকিওতে বৈঠক করেছেন। এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক গুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি (আইপিইএফ)-এর। এতে ক্ষুব্ধ বেইজিং। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলেও এই ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হতে সময় লাগতে পারে আরো দেড় থেকে দুই বছর। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপানসহ ১৩টি দেশ যুক্ত এই অর্থনৈতিক কাঠামোতে। এই অর্থনৈতিক ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আইপিইএফ-এর জন্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার সব দেশের সাথে কাজ করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে এই অর্থনৈতিক কাঠামো বহুপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নয়। এর আগে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি ছিল। আইপিইএফে বাইডেন যে দেশগুলোকে সাথে নিয়েছেন সেগুলো হলো ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড,ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রস্তাবে ২০০৭ সালে কোয়াড গঠিত হয়। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ জোটের অংশীদার ছিলেন সে সময়।
শুরুর দিকে এটি নিষ্ক্রিয় থাকলেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় ২০১৭ সালের পর থেকে এটি আবার সক্রিয় করতে তৎপর হন নেতারা।
এখন জো বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আরো তৎপরতা শুরু করেছেন।এ দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে বিশ্ব ‘আমাদের যৌথ ইতিহাসের একটি অন্ধকার সময় পাড়ি দিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশগুলোর নেতাদের তিনি এ কথা বলেন। বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ এখন বৈশ্বিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সুর মিলিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ইউক্রেনে আক্রমণের মতো ঘটনা এশিয়ায় হওয়া উচিত হবে না।
এদিকে জাপান সফরে গিয়ে তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে উসকানিমূলক আখ্যা দিয়েছে চীন। এ জন্য চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন তাইওয়ান প্রসঙ্গে মুখ সামলে কথা বলে। তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে বলেও সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে চীন। সোমবার চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ানবিষয়ক দফতর থেকে এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হয়।এর আগে কোয়াড সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জাপান সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার তাইওয়ান ইস্যুতে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করলে সেটি যথাযথ হবে না। এটি সমগ্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। ইউক্রেনে যা ঘটেছে, এখানেও তাই ঘটবে। তাইওয়ানকে রক্ষায় প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। স্বশাসিত দ্বীপটি রক্ষায় ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাইডেনের এমন মন্তব্যের পরই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আগুন নিয়ে খেলার অভিযোগ তোলে চীন। একইসাথে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বিদ্যমান নীতিগুলো লঙ্ঘন করে এমন কোনো মন্তব্য বা পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
চীনা স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দফতরের দাবি, চীনকে দাবিয়ে রাখতে তাইওয়ান কার্ড ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন। কিন্তু তারা যে আগুন নিয়ে খেলছে সেটি তাদেরই দগ্ধ করবে। তাইওয়ান পরিস্থিতির সাথে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলার তুলনা করে বাইডেনের বক্তব্যের জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, তাইওয়ান ও ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এই দুটিকে তুলনা করা উদ্ভট ব্যাপার। তিনি বলেন, তাইওয়ান চীনা ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেখানে কোনোরকম আপস বা ছাড়ের সুযোগ নেই এবং আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কাউকে দেব না।তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে এক চীননীতি মেনে চলার আহ্বান জানান। জো বাইডেনের কঠোর হুঁশিয়ারির জবাব দিতে গিয়ে লিজিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ কথা জানা নেই যে, চীন নিজের ভূখণ্ড রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে কেন্দ্র করে স্পটলাইটে আসে তাইওয়ান। এ অঞ্চলটিও তার বৃহৎ প্রতিবেশী কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কিছু বিশ্লেষক এরই মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতির সাথে চীন-তাইওয়ানের বাস্তবতার মিল খুঁজতে শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই স্বনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে বেইজিং।চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। এদিকে বাইডেন এশিয়া সফর শেষ করার সাথে সাথে উত্তর কোরিয়া তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূলে তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অঞ্চলে তার সফর শেষ করার কয়েক ঘণ্টা পর।সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা পূর্ণ প্রস্তুতির ভঙ্গি বজায় রাখছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওল অবিলম্বে একটি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকেন।উত্তর কোরিয়া দুই হাজার সতের সাল থেকে তার বৃহত্তম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সহ এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে যে পিয়ংইয়ং আরও অস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কারণ বাইডেন দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে যাচ্ছেন, রাষ্ট্রপতি হিসাবে এই অঞ্চলে তার প্রথম সফর।এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক কমান্ড বলেছে যে তারা উত্তর কোরিয়া থেকে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে সচেতন এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন এবং টোকিও নিজেদের মধ্যেকার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে। তাইওয়ানকে ঘিরে তারা যৌথ সামরিক পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। আবার ইউক্রেনে আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে। কিশিদা জাপানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির আশা করেন। দেশটির লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি কিশিদাকে সামরিক বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সকল ট্যাব্যু ভেঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা মোতায়েনের কথাও বলেছেন। পাশাপাশি জাপান তার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোকে সামরিকীকরণ করছে। তাইওয়ানকে ঘিরে ভবিষ্যত সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র জাপানে স্বল্প এবং মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। মার্চ মাসে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনী যৌথ মহড়া করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে জাপান। কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জাপান। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটিতে পরিণত হয়েছে দেশটি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ফিলিপাইনের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে জাপান।
জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি বিশেষ চুক্তি করেছে দেশটি। এর অধীনে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধাস্ত্র শেয়ারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে জাপান একটি বিশেষ কৌশলগত এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব সৃষ্টি করেছে। ফিলিপাইনের সঙ্গেও গত মাসে একই ধরনের একটি চুক্তির বিষয়ে কথা বলেছে দুই দেশের প্রতিনিধিরা। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইওলের অধীনে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী। দক্ষিণ কোরিয়ার কোয়াডে যোগ দেয়ার বিষয়েও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।