চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনায় লাল সবুজের বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে শিল্পবিপ্লব এখন একটি বাস্তবতা। এটিকে আর অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা কেমন অনুভব করি, কীভাবে কাজ করি, কীভাবে থাকি, ভ্রমণ করি-সবকিছুই বদলে যাবে। প্রথম শিল্পবিপ্লব হলো বাষ্পীয় ইঞ্জিন নিয়ে, দ্বিতীয় বিপ্লবটি বিদ্যুতের, তৃতীয়টি ইন্টারনেট ও কম্পিউটারবিষয়ক। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ঘটছে ইন্টারনেটের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তা যোগের মাধ্যমে। তবে এখন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, তাতে অনেক কিছুর অভাব আছে। অনেক কিছু একপক্ষীয় হয়ে গেছে। শক্তিশালী একটা বিরোধী দল বা পার্লামেন্টে যা যা ঘাটতি তা অনুধাবন করে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা এখনো চর্চা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ, সুষ্ঠু রাজনীতির চর্চা ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা- এটাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে বাংলাদেশের জন্য। ওদিকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কর্তৃত্বপরায়ণতা এবং দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তারের মতোই প্রকট হয়ে উঠছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের নানা দিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইতিমধ্যেই এগুলো প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে দেশের বিরাট অঞ্চলের মানুষের ওপর। তারা আরও বলছেন, দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে সেই কাঠামোর মধ্যে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন, দুর্নীতিমুক্ত চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি পরিবেশকেও গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাকৃতিক যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশে তা থেকে উত্তরণটা হবে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের পরিবর্তন ঘটছে প্রচলিত ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরের পথ ধরে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আবির্ভাবে ক্ষিপ্রগতিতে ঘটছে ডিজিটাল রূপান্তরধর্মী এ পরিবর্তন।তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশেও অনলাইনে ক্রয়াদেশে বার্গার, পিৎজা বাসায় সরবরাহ করতে দেখা যাচ্ছে। আর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে দেখা যাবে আপনার থ্রিডি প্রিন্টার থেকে তা প্রিন্ট করে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। পদ্ধতিগত এই মৌলিক পরিবর্তনে চ্যালেঞ্জ থাকলেও অবশ্যম্ভাবীভাবে তা সেসব দেশের জন্য কোনো বিপদ বয়ে আনবে না বলাটা মুস্কিল।তার পরও এগিয়ে যেতে হবে।
যারা ডিজিটাল রূপান্তরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং দক্ষতার উন্নয়ন করবে। যারা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সৃষ্ট নজিরবিহীন সুযোগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সুপরিকল্পিত কার্যক্রম, নীতি ও কৌশলের বাস্তবায়ন করবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের ইতিবাচক দিক হচ্ছে,দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রেরণাদায়ী রূপকল্প ২০২১-এর মূল উপজীব্য ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাফল্য।চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা জোগাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর তাই দেখা যাচ্ছে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংসের মতো প্রাগ্রসর (ফ্রন্টিয়ার) বা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যা ইতোমধ্যে অর্থনীতির দ্রুত বিকাশে অবদান রাখতে শুরু করেছে। তার ব্যাপক ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে প্রণয়ন করা হয়েছে উচ্চাভিলাষী স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প কেমন হবে দুই হাজার এক চল্লিশ সালের বাংলাদেশ। অনেকে হয়তো বলবেন, অতিমাত্রায় উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। ব্যক্তিজীবনেই হোক বা রাষ্ট্র পরিচালনায়; কোনো লক্ষ্য অর্জনে উচ্চাভিলাষ না থাকলে তা হবে নদীতে হাল ছাড়া নৌকার মতোই ভেসে চলা। ১৩ বছর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণার পর এমন একটি উচ্চাভিলাষী আধুনিক কর্মসূচির বাস্তবায়ন ‘অসম্ভব’ বা ‘কঠিন হবে’; এমন অনেক কথাই শোনা গিয়েছিল।সরকারদলীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে সমালোচনাও ছিল প্রবল। কিন্তু সব সমালোচনাকে ছাপিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। এই সাফল্য থেকে একটি বিষয় সামনে চলে এসেছে। আর তা হলো, দেশ ও মানুষের কল্যাণে গৃহীতকর্মসূচি যত উচ্চাভিলাষীই হোক; লক্ষ্য স্থির রেখে তা বাস্তবায়নে আন্তরিক হলে ভালো ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) পাওয়া যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমরা ডিজিটাল অর্থনীতি নামক নতুন একটি খাত পেয়েছি। প্রত্যক্ষ করেছি মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরণ।
আর বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্পের বাস্তবায়নে হয়তো দেখা যাবে স্পেস অর্থনীতি নামক আরেকটি খাত। দেশে তৈরি স্যাটেলাইট মহাকাশে প্রেরণ করা হচ্ছে। এমন উচ্চাশা থেকে শুধু স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্পেই নয়; এর আগে ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১-এও স্পেস অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্পেস অর্থনীতি গড়ে তোলার পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানাতে হয় যে কারণে। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিলে স্পেস গবেষণা ও অর্থনীতি এবং তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারণে মহাকাশে বাংলাদেশকে আরও বিভিন্ন ধরনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে হবে এবং স্যাটেলাইট বিনিয়োগ লাভ জনক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।বিশ্নেষণে দেখা যায়, রূপকল্প ২০৪১-এর অভীষ্ট অর্জন দ্রুততর করতেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এর ভিত্তিমূলে রয়েছে প্রধান অভীষ্ট।যেমন: ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে বর্তমান মূল্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার এবং যা হবে ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এবং বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের ঘটনা। প্রেক্ষিত পরিকল্পনার এই লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করতেই বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্পে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। কারণ, আগের তিনটি শিল্পবিপ্লবের চেয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্বে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। সরকার এসব প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে আইসিটি খাতের অবদান ২০ শতাংশের বেশি নিশ্চিত করতে চায়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) তথ্যমতে, জ্বালানি, পরিবহন, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ এবং ডিজিটাল উৎপাদন-এসব প্রধান ক্ষেত্র গুলোকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হবে।
এমনকি এর আওতায় কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বাণিজ্য, পরিবহন, পরিবেশ, শক্তি ও সম্পদ, অবকাঠামো, বাণিজ্য, গভর্ন্যান্স, আর্থিক লেনদেন, সাপ্লাই চেইন, নিরাপত্তা, এন্টারপ্রেনিউরশিপ, কমিউনিটির মতো খাত প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত হবে। রূপকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি, উদ্ভাবনী জাতি এবং অন্তর্ভুক্তি মূলক ডিজিটাল সমাজ বিনির্মাণ। সুচিন্তিতভাবে এর বাস্তবায়নে প্রস্তাব করা রয়েছে।যেমন:চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় নলেজ স্ম্ফিয়ার বিনির্মাণ, জ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনায় অবকাঠামো নির্মাণ এবং স্থানীয় পর্যায়ে আন্তর্জাতিক স্টার্টআপ মেন্টর ও বিজনেস কোচ সৃষ্টি, অল্টারনেটিভ স্কুল ফর স্টার্টআপ এডুকেটরস অব টুমরো (অ্যাসেট) এবং সেন্টার ফর লার্নিং ইনোভেশন অ্যান্ড ক্রিয়েশন অব নলেজ (ক্লিফ) প্রতিষ্ঠা। উদ্ভাবনী জাতি গঠনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সক্ষমতা তৈরি, মানসম্মত উদ্ভাবন এবং নিয়ন্ত্রণের ওপর। উদ্যোক্তা তৈরিতে নতুন উদ্যোগ হিসেবে সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট এবং কনটেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ও লিংকেজ ল্যাব স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ বিনির্মাণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম বিসিসির এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের আওতায় সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন ও ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা। বিশ্বে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের একটি উদীয়মান রোল মডেল হতে পারে বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি শক্ত। গত ১৩ বছরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের ফলে সারা দেশে, প্রায় প্রতিটি খাতের পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আইসিটি খাত প্রভাব ফেলেছে।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) এখন ফাইবার অপটিক্যাল তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হচ্ছে; স্কুলগুলো এখন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দিয়ে সজ্জিত; হাজার হাজার ইন্টারঅ্যাকটিভ কনটেন্ট এবং ই-বুক ডিজাইন ও ডেভেলপ করা হয়েছে; ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে ইত্যাদি। এভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের দেশে ফোরআইআর চালু করার জন্য একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।আমাদের দারুণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৩২৭ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার হয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশকে উন্নীত করার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ১৫ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়ের পাশাপাশি জনগণকে সমান ভাবে ক্ষমতায়ন করে একটি ধনী দেশে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা করেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনাকে কোনো বিলম্ব ছাড়াই শুরু করা উচিত। দেশের জিডিপির আকার আজকের ২২৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৪১ সালে ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পরিণত হবে। এখন সরকার উচ্চশিক্ষা ঋণ কর্মসূচি চালু করতে পারে। করদাতার আয় ও চাকরির সুযোগের ওপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে, সরকার ভর্তুকি এবং সম্পূর্ণ ফি প্রদানের মতো উচ্চশিক্ষার প্রকল্পগুলো থাকা উচিত সর্বশেষে, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সংযোগের গুরুত্ব অনুধাবন। প্রতিবছর প্রায় দুই মিলিয়ন নতুন প্রবেশকারী শ্রমশক্তিতে যোগদান করে, কিন্তু এখনো ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ স্নাতক বেকারত্ব প্রকারান্তরে দক্ষতার অমিল নির্দেশ করে। ফলে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি, করপোরেট সংস্থা এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে প্রযুক্তিগত ও ব্যবস্থাপনা স্তরে বিদেশিরা আমাদের চাকরির বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতে এ প্রবণতা বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ছয় বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স নিয়ে যায়। তাও বিবেচিত বিষয়।
দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে প্রযুক্তির বিপ্লব মানেই এখনো ভালো নেটওয়ার্ক। কেবল সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণীকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের স্বপ্ন দেখালেই চলবে না, আরেকদলকেও নিদারুণ বাস্তব থেকে উদ্ধার করতে হবে। তাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে খুব কঠিন কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এইটা সত্যি। তেমনি নতুন সুযোগ তৈরী হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা আছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনো- লজি, রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনের মত ক্ষেত্র গুলোতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে নেতৃত্ব দিতে সবাইকে এক সাথে উদ্ভাবনের পথে একযোগে কাজ করতে হবে, তাহলেই আমরা এগিয়ে যাব।বাংলাদেশ বদলে গেছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রায় সব ক্ষেত্রেই। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। আর মানবিক মর্যাদায় বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে পুরো বিশ্বকেই। দশ লাখের বেশি নির্যাতিত মানুষকে একসঙ্গে আশ্রয় দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে যতটা না সাফল্য অর্জন করেছে তারচেয়েও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা, খাদ্যে স্বয়ংম্পূর্ণতার চ্যালেঞ্জ, বেকারত্ব দূর করা, রাজনৈতিক শিষ্টাচারসহ নানা চ্যালেঞ্জের মু