প্রেমের টানে সুন্দরবনের নদী সাঁতরে ভারতে বাংলাদেশের তরুণী!
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ফেসবুকের মাধ্যমে ভারতের এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশের এক তরুণীর। প্রেমের টানে সুন্দরবনের নদী এবং জঙ্গল পেরিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সেই তরুণী। ওপার বাংলায় থাকা প্রেমিককে বিয়ে করতে ঘন্টাখানেক মাতলা নদীতে সাঁতার ও কাটতে হয় তাঁকে। কালীঘাটে গিয়ে বিয়ে করে সংসার ও বেঁধে ছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু প্রেমের জন্য তাঁর এই জীবনমারণ পণের গল্প লোক মুখে ছড়িয়ে পড়াই কাল হয়ে দাঁড়াল।
বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে সোমবার (৩০ মে) ওই তরুণীকে নরেন্দ্রপুর থানা সদর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ধৃত তরুণী বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা। কয়েকমাস আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নরেন্দ্রপুরের রানিয়ার বাসিন্দা অভীক মন্ডল নামে জনৈক যূবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় বাংলাদেশের ওই তরুণীর। সেই আলাপ প্রেমে পরিণত হয়। অভীককেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কৃষ্ণা। কিন্তু ভারতের আসার জন্য পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না তাঁর কাছে। শেষে সুন্দরবনের জঙ্গল ঘেরা নদীপথ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৌঁছার সিদ্ধান্ত নেন। বিপদে ভরা সুন্দরবন জঙ্গল পেরিয়ে নেমে পড়েন মাতলা নদীতে। যে নদীতে যখন তখন বাঘ- কুমিরের মুখে পড়ার আশঙ্কা। কিন্তু সেই সব বিপদের তোয়াক্কা না করেই একঘন্টা ধরে নদী সাঁতরে এ রাজ্যের কৈখালিতে প্রবেশ করেন কৃষ্ণা।
কালীঘাট মন্দিরে বিয়েও সেরে ফেলেন দু'জনের দিন চারেক আগেই স্বামী বাড়িতে আসেন ওই তরুণী। বিয়ের পর সুখেই সংসার করছিলেন দু'জনে। কিন্তু প্রেমের জন্য কৃষ্ণার এই সাহসিকতার কাহিনীই লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। তরুণীর নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার এই ঘটনা পুলিশের কানে পৌঁছতে ও দেরি হয়নি। এরপরই সোমবার রানিয়া এলাকায় হানা দেয় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কৃষ্ণাকে।
এসএ/