হাবিপ্রবিতে ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) চারটি বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। হাবিপ্রবির ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে " একাডেমিক অ্যান্ড রিচার্স কোলাবোরেশন অ্যান্ড এমওইউ সাইনিং সিরেমানি " শীর্ষক সেমিনারে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ ও হাবিপ্রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইকিউএসি এর পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ট্রেজারার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং কারিতাস বাংলাদেশের প্রতিনিধি (ইএসডিএ), হাবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অধ্যাপকবৃন্দসহ অন্যান্য শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, “আমরা অনেক এগিয়েছি কিন্তু আজ থেকে ৩০ কিংবা ৪০ বছর আগের সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার কথা যদি আমরা চিন্তা করি তবে সে তুলনায় আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। প্রথম ও দ্বিতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলিউশনে আমরা দেখেছিলাম মেশিন মানুষকে রিপ্লেস করেছিল। তৃতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলিউশন অতিক্রম করে আমরা এত দ্রুত চতুর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলিউশনে প্রবেশ করেছি যে বুঝতেই পারিনি। এই যুগে মানুষ মানুষকে রিপ্লেস করবে অর্থাৎ যে দক্ষ সে কম দক্ষ বা অদক্ষ মানুষকে রিপ্লেস করবে। তাই আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দক্ষ জনগোষ্টি তৈরি করা। এই দক্ষ জনগোষ্টি তৈরি করার দায়িত্ব শিক্ষকদের কাঁধে। এক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই যদি ঠিকমতো গবেষণা না করি তাহলে এটা সম্ভব না। আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েই কাজ করে যেতে হবে।”
এসময় তিনি এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য হাবিপ্রবির উপাচার্য ও আইকিউএসিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেন, “এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রাখলেই হবে না। এর বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরী। এজন্য আমাদেরকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, “আজ হাবিপ্রবির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। বর্তমানে শিক্ষার মূল লক্ষ্যই হলো গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে আমাদের জাতির পিতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন তা বাস্তবায়নে কাজ করা। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সময়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য দক্ষ মানবসম্পদের পাশাপাশি উন্নত গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রধান কাজ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা এবং ভালো গবেষণা করা।”
এ সময় হাবিপ্রবির উপাচার্য সেমিনারে উপস্থিত হওয়ার জন্য ইউজিসি’র সদস্য, বেরোবির উপাচার্য সহ উপস্থিত সকল অতিথিদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সেমিনারে প্রাথমিকভাবে ৬ টি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এগুলো হলো হাবিপ্রবি, মাভাবিপ্রবি, বেরোবি, শেকৃবি এবং কারিতাস ও ইএসডিও।
উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার ( ২রা জুন) হাবিপ্রবির অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসএ/