সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪৯


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪৯

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। 

রবিবার (৫ জুন) বেলা সাড়ে সাড়ে ৪ টা এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি চার শতাধিক। তাদের মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীও রয়েছেন। 

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, “সাড়ে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৪২ জনের লাশ এসেছে। লাশগুলো হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। সকাল ৯টার পর যে লাশগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো চেনার উপায় নেই। পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট করা লাগতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “অধিকাংশরাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। তাদের তথ্য আমাদের কাছে নেই। আহতদের মধ্যে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৭৮ জন। সেই সঙ্গে সিএমএইচ, বেসরকারি হাসপাতাল পার্ক ভিউ, ন্যাশনাল হাসপাতাল ও মেট্রোপলিটনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন। কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”

চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৯, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ২, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৮৭, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ জন চিকিৎসাধীন আছেন। 

ফায়ার সার্ভিসে ও সিভির ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মোঃ শাহজাহান শিকদার জানিয়েছেন, “সীতাকুণ্ডের অগ্নিদুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের নিহত কর্মীর সংখ্যা বেড়ে ৮ জন হয়েছে। এছাড়া ১৫ জন অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছে। এদের মধ্যে গুরুতর ২ জনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। সাধারণ জনগণ-এর মৃতের সংখ্যা আমাদের তথ্য মতে ১০ জন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ জন হয়েছে।”

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, “অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষের কাউকে পাচ্ছি না। মালিকদের কাউকে পেলে আমরা জানতে পারতাম কোন কনটেইনারে কী আছে। এটা আমাদের জানা নেই। এ জন্য উদ্ধার কাজে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুনের ঘটনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন পাঁচজন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮৫ জন।


ওআ/