ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের রেকর্ড


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের রেকর্ড

টেস্টে ভরাডুবি, টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়নি। একের পর এক হারে ব্যর্থতার পাল্লা ভারীই হচ্ছিল। তবে ‘প্রিয়’ ফরম্যাট ওয়ানডে ফিরতেই চেনারূপে বাংলাদেশ। প্রথম দুটি জিতে নেয়ায় সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যায় আগেই। শেষটা জিতে সুযোগ ছিল হোয়াইটওয়াশের আনন্দে মাতার। তামিম-তাইজুলরা সেটা মিস করেননি। 

শনিবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওয়ানডেতেও ক্যারিবীয়দের হারিয়ে বাংলাদেশ ৩-০ তেই শেষ করেছে ৫০ ওভারের লড়াই।

ওয়ানডে ফরম্যাটে এ নিয়ে তৃতীয়বার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ দল। ২০০৯ ও ২০২০ সালের পর আবারও বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হল ক্যারিবীয়রা। প্রতিবারই সিরিজ হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে।

এদিন শুধু হোয়াইটওয়াশই করেনি বাংলাদেশ, উইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১১ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। গায়ানায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ম্যাচে তুলে নিয়েছে ৪ উইকেটের জয়।

ক্যারিবীয়দের দেয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই নাজমুল হোসাইন শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। আলজারি জোসেফের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৩ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।

শান্তর বিদায়ের পর লিটন দাসকে নিয়ে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল। যদিও লম্বা করতে পারেননি নিজের ইনিংস। বাঁহাতি ওপেনারকে বিদায় নিতে হয় গুদাকেশ মতির স্পিনে আকিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৫২ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন অধিনায়ক।

তামিম ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৬২ বলে লিটন দাস তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি। তবে বরাবর ৫০ (৬৫) রান করে সেই মতির বলেই কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকেও। যদিও তার আগেই জয়ের ভীত পেয়ে যায় বাংলাদেশ।

লিটনের ব্যাট হাসলেও এদিন হাসেনি আফিফ হোসাইনের ব্যাট। মাত্র ২ বলে খেলে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই, ঘাতক সেই গুডাকেশ মতি। এরপর মোসাদ্দেক হোসাইনও মতির শিকার হন ১৯ বলে ১৯ রান করে। ফলে ১১৬ রানেই পঞ্চম উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একপ্রান্ত আগলে রাখলেও ১৪৭ রানের মাথায় ফেরেন তিনিও। ২৬ রান করতে তিনি খেলেন ৬১ বল। শেষ পর্যন্ত নিকোলাস পুরানের বলে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক শাই হোপের গ্লাভসে।

রিয়াদ বিদায় নিলেও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়ে ৯ বল বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেন নুরুল হাসান সোহান। সোহান ৩৮ বলে ৩২ করে এবং মিরাজ অপরাজিত থেকেছেন ৩৫ বলে ১৬ রান করে।

উইন্ডিজের পক্ষে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন গুদাকেশ মতি। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন আলজারি জোসেফ ও নিকোলাস পুরান।

এর আগে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা। ২৭ মাসের দীর্ঘ বিরতির পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরেই একাই ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন-আপ ধ্বসিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। ১০ ওভারে ২টি মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট।

ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ (১০৯) রান করেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। এছাড়া ৩৩ রান আসে কেসি কার্টির ব্যাট থেকে। ১৯ রান করেন রোমারিও শেফার্ড ও ১৮ রান আসে রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ছাড়া ২টি উইকেট করে নেন নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। আর ১ উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসাইন।

প্রথম ফাইফারে ম্যাচ সেরা হন তাইজুল ইসলামই। এ নিয়ে আগের ৯ ম্যাচে ১২ উইকেট নেয়া তাইজুলের উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ১০ ম্যাচে ১৭। আর তিন ম্যাচে ৫৮.৫০ গড়ে মোট ১১৭ রান করে সিরিজ সেরা হন তামিম ইকবাল।

এসএ/