মিরাজ-শান্তকে দলে দেখলে সন্তুষ্ট হন স্টুয়ার্ট ল


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মিরাজ-শান্তকে দলে দেখলে সন্তুষ্ট হন স্টুয়ার্ট ল

বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে আমার সর্ম্পক পুরোনো। তিনি এর আগেও কোচের দায়িত্বে ছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নতুন প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল ৬ বছর আগেও ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ছিলেন টাইগার যুবাদের কোচ। সেই দলের মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত এখন জাতীয় দলের প্রায় নিয়মিত সদস্য।

মিরাজ ও শান্তকে জাতীয় দলে দেখে তাই পুলকিত, সন্তুষ্ট এ অস্ট্রেলিয়ান। দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরুর আগে রোববার মিডিয়া সেশনের শুরুতে শান্ত-মিরাজের সেই যুব দলে থাকা সময়ের স্মৃতিচারণ করলেন স্টুয়ার্ট ল।

তিনি জানিয়ে দিলেন, "বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যখনই কাজ করার সুযোগ হয়েছে, তখনই তার মনে হয়েছে এ দেশে প্রতিভার কমতি নেই। এখানে অনেক প্রতিভা আছে।"

স্টুয়ার্ট লয়ের কথা, ‘ফিরে এসে ভালো লাগছে। আজ এখানে এসে কিছু পরিচিত, বন্ধুত্বপূর্ণ মুখ দেখতে পেলাম। অনেক ভালো স্মৃতি আছে এখানে। তাই ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যখন থেকেই আছি, আমার মনে হয়েছে এখানে অনেক প্রতিভা আছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে কাজ করেছি। যেখানে মিরাজ-শান্তরা ছিল। ওদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। এটা যে শুধুই তরুণ ক্রিকেটার তৈরির জায়গা, তা কিন্তু নয়। আমি জানি যে এটা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, এটাই হওয়া উচিত মূল উদ্দেশ্য।’

যুব দলকে খেলোয়াড় তৈরির কারখানার পাশাপাশি মানুষ গড়ে তোলার জায়গা বলেও মনে করেন ল, ‘এটা মানুষ গড়ারও জায়গা। মিরাজ-শান্তদের যখন দেখি, ওদের বিশাল হাসি দেখতে পারি। ওরা খুব গর্বিত নিজেদের পরিবার নিয়ে। ওরা এখন বিবাহিত। ওরা ক্ষুদে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে এখন বড় হচ্ছে। ক্রিকেটে তো অবদান রাখছেই, ক্রিকেটের বাইরেও অনেক কিছু করেছে। এটাই আমি চাই।’

স্টুয়ার্ট ল অবলীলায় বলে দিলেন, জাতীয় দলের হেড কোচের চেয়ে যুব দলের কোচিংটা ভালো লাগে তার। এ অস্ট্রেলিয়ানের মনে হয় জাতীয় দলের হেড কোচের কাজ করার ক্ষেত্র তুলনামূলক কম। তার চেয়ে যুব দলের সঙ্গে কাজ করার পরিধি ও ক্ষেত্রে বেশি।

আমি প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়। সত্যি কথা বলতে, আন্তর্জাতিক দলের প্রধান কোচ হিসেবে খুব বেশি কোচিংয়ের সুযোগ থাকে না। এটা মূলত অনেক কথা বলা, প্রশাসনিক কাজ করার জায়গা। কিন্তু এই দায়িত্বটা আমাকে উঠতি ক্রিকেটার নিয়ে কাজ করার সুযোগ এনে দেবে। যেখানে আমি পার্থক্য এনে দিতে পারবো। শুধু ক্রিকেটীয় সামর্থ্যে নয়, তরুণ ব্যক্তিত্ব গড়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারবো। তাই সুযোগটা যখন এলো, আমার জন্য হ্যাঁবলা খুব সহজ ছিল।’

আরএক্স/