ভরা মৌসুমেও নেই বৃষ্টি, আমন রোপণের শেষ ভরসা সেচ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ভরা মৌসুমেও নেই বৃষ্টি, আমন রোপণের শেষ ভরসা সেচ

দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা জুড়ে খরার কবলে পড়েছে। এ উপজেলায় গত ২১-২৫ দিন থেকে বৃষ্টির দেখা নেই। সমস্ত খাল-বিল দোলা-নালা শুকিয়ে যাওয়ায় পানির অভাব দেখা দিয়েছে। এ দিকে কৃষকের লাগানো আমন বীজতলা বড় হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের চাষিরা শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করতে শুরু করেছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা গেছে, গত এক মাস আগেও টানা-বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে এ উপজেলার নদ-নদীসহ নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়ে চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অথচ ভরা আমন মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে দোলার জমিগুলো ফেটে যাচ্ছে। যে সকল চাষিদের সেচ দেওয়ার সুযোগ নেই, সেই সমস্ত চাষি বৃষ্টির অপেক্ষা করছেন। যাদের সুযোগ আছে তারা বৃষ্টির অপেক্ষা না করে সেচ ও শ্যালো মেশিন দিয়ে আমনের চারা রোপন করছেন।

শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার কৃষক খলিলুর রহমান ও ময়নুদ্দিন ইসলাম জনবাণীকে জানান, ‍“গত ২০ থেকে বৃষ্টি নেই। প্রখর রৌদ্রে জমির পানি শুকিয়ে চৌচির হচ্ছে। এ দিবে বীজতলাও বড় হয়েছে। তাই বৃষ্টির অপেক্ষায় না থেকে সেচ দিয়ে আমন রোপন শুরু করেছি। তারা প্রত্যেকেই ৫ বিঘা জমিতে এ বছর আমন ধান লাগাবেন। এভাবে সেচ দিয়ে আমনের চাষাবাদ করলে উৎপাদন খরচ বাড়বে।”

একই উপজেলার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বাচ্ছু জানান, “টানা খরায় সমস্ত খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে আকাশের কাল মেঘের আনাগোনা থাকলেও বৃষ্টির কোন লক্ষণ নেই। তাই বাধ্য হয়ে সেচ ও শ্যালোমেশিন দিয়ে আমন চাষের জমিতে হাল-চাষ শুরু করেছি। এবছর ১৫ একর জমিতে আমনের চাষাবাদ করবেন তিনি। তিনি আরও জানান, বৃষ্টিপাত না হলে এবারে আমন চাষে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বাড়বে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জনবাণীকে জানিয়েছেন, “চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।” 

তিনি আরো জানান, “বৃষ্টি না থাকায় সেচ ও শ্যালোমেশিনের পানি দিয়ে চাষিরা আমন ধান রোপন শুরু করেছে। যা এখন পর্যন্ত ২ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান লাগানো হয়েছে।”

এসএ/