ফুলবাড়ীতে তীব্র খরতাপে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ফুলবাড়ীতে তীব্র খরতাপে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে

শ্রাবণের ৭ তারিখ গড়িয়ে গেলেও বৃষ্টি দেখা মিলছে না দিনাজপুরর ফুলবাড়ীতে। প্রচণ্ড - গরম আর খরতাপে বেড়েই চলেছে সর্দি-কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানা প্রকার রোগ। এর প্রভাব পড়েছে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করে সরেজমিনে বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, জ্বর, সর্দি-কাশি আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীরা কমপ্লেক্সে আসছেন চিকিৎসা নিতে। যেসব রোগীর অবস্থা খারাপ তাদেরকে আন্তবিভাগে ভর্তি রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আবার যাদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো তাদেরকে ওষুধসহ সার্বিক পরামর্শ দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত এক পক্ষকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুুরুষ ও নারী-শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে অন্তত অর্ধশত বিভিন্ন বয়সী রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন।  এছাড়াও জ্বওে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে অন্তত ৭৫ জন। 

এছাড়াও প্রতিদিন বহির্বিভাগে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত অন্তত ৫০ জন এবং জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৭৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে প্রতিদিন এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে অন্তত সাড়ে ৩০০ রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়। 

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী জানান, এক সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শরীর আগের চেয়ে অনেক ভালো। ডাক্তার বলেছেন আগামী রবিবারের মধ্যে বাড়ী যেতে পারবেন।  

মহিলা ওয়ার্ডের কয়েকজন রোগী বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ভালোই পাচ্ছি, বেশির ভাগ ওষুধই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দেওয়া হচ্ছে। তবে যেসব ওষুধ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই, সেগুলো বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. সাকিলুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতিদিন শিশু ও বৃদ্ধসহ তিন শতাধিক মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে বর্তমানে ডায়রিয়া রোগী কিছুটা কম হলেও বেশির ভাগই জ্বরের রোগী। হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় শিশুসহ সব বয়সী মানুষ ভাইরাসজনিত কারণে সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এসব কারণে আতঙ্কিত না হয়ে সময়মত সঠিক চিকিৎসা নিলেই রোগীরা সুস্থ হয়ে যাবেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, যেহেতু আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। জ্বর-ঠান্ডা করোনার উপসর্গ। প্রতিদিন বহির্বিভাগে তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এরমধ্যে বেশির ভাগই জ্বর-ঠা-া-সর্দি ও ডায়েরিয়া রোগী। যাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ মনে হচ্ছে তাদেরকে অন্তবিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্যারাসিটামলসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। 


আরএক্স/