খরায় পুড়ছে বীজতলা, আমন রোপনে বিপাকে ঘাটাইলের কৃষকরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


খরায় পুড়ছে বীজতলা, আমন রোপনে বিপাকে ঘাটাইলের কৃষকরা

চলমান তাপদাহে আমন ধানের রোপন ও  বীজতলা নিয়ে বিপাকে পরেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার কৃষকরা। এদিকে লোডশেডিং এর প্রভাব যেনো মরার উপড় খড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (২৩জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমন ধান রোপনের জন্য কৃষকরা যে বীজতলা তৈরি করেছিলো প্রচন্ড তাপদহে সেগুলো মরে যাচ্ছে।বৃষ্টি না আসার কারনে ধানের চারা রোপনের জমিগুলোও প্রস্তুুত করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকায় যে  ডিপ টিউবওয়েল বা সেচ পাম্প আছে বিদ্যুতের প্রচন্ড লোডশেডিং এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সেচের মাধ্যমেও এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছেন এ অবস্থা চলতে থাকলে আমন ধানের আশা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ঘাটাইলের পাহাড়ি এলাকা ধলাপাড়া ও সাগরদিঘী ইউনিয়নে এর ভয়াবহতা আরও চরম পর্যায়ে। এ এলাকায় বীজতলা ছাড়াও রোপনকৃত কচু, বেগুন,আদা ইত্যাদি ফসলগুলো টলে মরে যাচ্ছে।

কথা হয় উপজেলার চকচকিয়া গ্রামের কৃষক নাজমুল হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‍“খরার যে তীব্রতা তাতে করে আমন ধান রোপন করা তো দুরে থাক, বীজতলা-ই বাঁচাতে পারছিনা। আর আমন বুনতে (রোপন) না পারলে আমরা খাবো কি? আমার বয়সে এমন খরা দেখিনি। তিনি আরও বলেন, লোডশেডিং-এর কারনে সেচের ব্যবস্থাও করতে পারছিনা। জানীনা কি হবে দেশের!”

সুন্দইল পাড়ার কৃষক নুরুল ইসলাম (নুরু) বলেন, “আমার ধানের বীজতলা মরতে শুরু করেছে। এমন তাপ থাকলে দু -এক দিনের মধ্যে সব মরে যাবে।” 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান মুঠোফোনে জনবাণীকে বলেন, “আমন মৌসুমটা সাধারনত প্রকৃতি নির্ভর। তবুও প্রচন্ড খরার কারনে যে তাপদাহ তৈরি হয়েছে আমরা কৃষকদের অনুরোধ করবো সেচের মাধ্যমে যেনো জমির আদ্রতাটা ধরে রাখেন তারা। বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর কারনে কৃষকরা সেচ দিতে পারছেনা বললে তিনি বলেন,এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”

এসএ/