নির্বাচন কমিশনার নিজেই নির্বাচিত, তোলপাড় পবিপ্রবি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা নিয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে তোলপাড় চলছে। অভিযোগ রয়েছে নির্বাচনের নামে নাটক সাজিয়ে একতরফা পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধানেও এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত ৬ জুন ২১ সদস্যকে বিজয়ী ঘোষনা করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক চিন্ময় ব্যাপারী। তবে সেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। এমনকি অপর এক নির্বাচন কমিশনার ড.মো. আনোয়ার হোসেন মন্ডল নিজেই নির্বাচনে কোষাধক্ষ্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার নিজেই কিভাবে নির্বাচিত হলেন এমন প্রশ্নে ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে নানা সমালোচনা।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকদের একটি অংশ নিজেদের ভিসির আস্থাভাজন হিসেবে পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে নানা ধরনের বিতর্কিত কাজ করে চলছেন। এদিকে ঘোষিত এই বিতর্কিত কমিটির ক্ষেত্রে সংগঠনের সভাপতি ডা.এস এ মালেকের অনুমোদন থাকলেও কমিটির অনুমোদন দেননি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন চলতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর জেহাদ পারভেজ।
২৪ শে জুলাই রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি জানান, পবিপ্রবিতে হঠাৎ করে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নামে একটি কমিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যেখানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর রয়েছে কিন্তু সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নেই এবং উক্ত কমিটি গঠনে যিনি নির্বাচন কমিশনার তিনিই আবার কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রকাশিত কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাহিরে ছাত্রদলের সাথে সংস্পৃক্ত সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অধিকন্ত একটি মহল এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ ও প্রশ্নবিদ্ধ কমিটি সর্বত্র প্রকাশ করে বেড়াচ্ছে। পবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অধিকাংশ শিক্ষককে না জানিয়ে এ ধরনের একতরফা কমিটি গঠন নিঃসন্দেহে পবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ কে দ্বিখণ্ডিত করেছে ও অধিকাংশ সদস্যকে দ্বিধা গ্রস্থ করেছে যা পবিপ্রবিতে অস্থিতিশীল পরিবেশের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
এর আগে রবিবার পবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সংসদ নামে একটি কমিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কমিটিতে প্রফেসর মোহাম্মদ আলীকে সভাপতি ও প্রফেসর ড.সন্তোষ কুমার বসুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে ছাত্রদলের সাবেক একনেতাও স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে যোগাযোগ করা হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দাবি করা অধ্যাপক চিন্ময় ব্যাপারী বলেন, “কোন নির্বাচন হয়নি এবং কোন তফসিলও ঘোষনা করা হয়নি। তবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে।”
কমিশনার নিজেই কিভাবে কোষাধক্ষ্য নির্বাচিত হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে কোরাম পূরণ করার জন্য তাকে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হয়।”
এসএ/