মসজিদে নববি-এর ইতিবৃত্ত

মাধ্যমে হযরত ফাতেমা (রা.)-এর এই হুজরা শরীফটিও ভেঙে ফেলে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
৬ষ্ঠ সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ৩য় আব্বাসিয় খলিফা আল-মাহদি
সময়: ৭৭৯-৭৮৩ খ্রিষ্টাব্দ (১৬১-১৬৫ হিজরি)
বিজ্ঞাপন
বিবরণ: ৩য় আব্বাসিয় খলিফা আবু আবদুল্লাহ্ আল-মাহদি (শাসনকাল: ৭৭৫-৭৮৫ খ্রি.) ৭৭৯ খ্রিষ্টাব্দে (১৬১ হিজরি) মক্কায় হজ করতে আসেন। অতঃপর মদিনায় এসে তিনি জাফর ইবনে সোলাইমানকে মদিনার গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং মসজিদে নববি-এর সংস্কার করার নির্দেশ দেন। এই মহান কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি আবদুল্লাহ্ বিন আজিম বিন উমর ইবনে আবদুল আজিজ এবং আবদুল মালেক ইবনে কাবিব গাসসানি-কে নিযুক্ত করেন। তিনি উত্তর দিকে কিছু সাহাবির বাড়ি ক্রয় করে শুধু এই দিকে মসজিদে নববি-কে ১৫০ ফুট প্রসারিত করেন। এতে মসজিদে নববি-এর আয়তন হয় প্রায় ১,২২,২৪৮ বর্গফুট (৪১৩ ফুট´ ২৯৬ ফুট)। তার প্রসারিত অংশের পরিমাণ ৪৪,৪০০ বর্গফুট। তিনি নতুন ভবনটি মোজাইক দ্বারা তৈরি করেন এবং উমায়া খলিফা ১ম ওয়ালিদ-এর ন্যায় সুন্দর ও কারুকার্য খচিত করে উত্তর দিকে লোহার তৈরি ১০টি স্তম্ভ নির্মাণ করেন। তিনি পূর্ব ও পশ্চিম দেওয়ালে ৮ টি করে ১৬টি এবং উত্তর দেওয়ালে ৪টি অর্থাৎ সর্বমোট আরও ২০টি দরজা নতুন করে সংযুক্ত করেন। মসজিদে নববি-এর এই সংস্কারের সময়কাল ছিল ৪ বছর (৭৭৯-৭৮৩ খ্রি./১৬১-১৬৫ হি.)। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে ৭ম আব্বাসিয় খলিফা আল মামুনও ৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে (২০২ হিজরি) মসজিদে নববি-এর সামান্য সংস্কার করেন।
৭ম সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ১০ম আব্বাসিয় খলিফা জাফর আল মোতাওয়াক্কিল
বিজ্ঞাপন
সময়: ৮৬০-৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ (২৪৫-২৪৬ হিজরি)
বিবরণ: ৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে ১০ম আব্বাসিয় খলিফা জাফর আল মোতাওয়াক্কিল (শাসনকাল: ৮৪৭-৮৬১ খ্রি.) মসজিদে নববি-এর সংস্কারের জন্য বাগদাদ থেকে দক্ষ কারিগর এবং প্রচুর পরিমাণে মোজাইক পাথর প্রেরণ করেন। তিনি হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের বাইরের অংশে মার্বেল পাথর দ্বারা অলংকৃত করেন। ৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদ সংস্কার ও অলংকরণের কাজ শেষ হয়।
৮ম সংস্কার
বিজ্ঞাপন
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ৩৬তম আব্বাসিয় খলিফা আল নাসির
সময়: ১২২৩ খ্রিষ্টাব্দ (৬১৯ হিজরি)
বিবরণ: ১২২৩ সালে আব্বাসিয় খলিফা আল নাসির (শাসনকাল: ১১৮০-১২২৫ খ্রি.) মসজিদের উন্মুক্ত চত্বরে গম্বুজ আকৃতির ছাদ বিশিষ্ট একটি কক্ষ নির্মাণ করেন। এরপর ১২৫৬ খ্রি. (৬৫৪ হিজরি) পর্যন্ত প্রায় ৩৩ বছর মসজিদে নববি-এর কোনো পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
ভূমিকম্পে মসজিদে নববি-এর ক্ষতিসাধন [১২৫৬ খ্রি. (৬৫৪ হিজরি)]
হযরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, “ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না হিজাজ ভূমি থেকে একটি অগ্নি প্রকাশিত হবে; যা বুসরায় অবস্থানরত উটের গলা পর্যন্ত আলোকিত করবে (অর্থাৎ সেই আগুনের আলোতে রাতের বেলাতেও লোকেরা উটের গলা দেখতে পাবে)।” (মুসলিম শরীফ, হাদিস একাডেমি, হাদিস নং ২৯০২)
আল্লাহ্র রাসুল (সা.)-এর ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণিত করে ১২৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ মে (৩ জমাদিউল আউয়াল, ৬৫৪ হিজরি) বুধবার রাতে মদিনার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত হিজাজের ‘হাররাত রাহাত’ নামক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে, যার লাভা চারদিকে ২৩ কিলোমিটার-এর ও বেশি এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। লাভার সর্বোচ্চ বিস্তৃতি থেকে মসজিদে নববি মাত্র ৮.২ কি.মি. দূরে ছিল। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত মদিনা থেকে প্রায় ১০০০ কি.মি. দূরে অবস্থিত সিরিয়ার ‘বুসরা’ অঞ্চল থেকেও দেখা যাচ্ছিল। ঐতিহাসিকদের মতে ঐদিন ১৮ বার ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। প্রচণ্ড ভূমিকম্পের ফলে মসজিদ ভবন কম্পিত হতে থাকে এবং মসজিদের ছাদ ও একটি মিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
মসজিদে নববিতে ১ম অগ্নিকাণ্ড [১২৫৬ খ্রি. (৬৫৪ হিজরি)]
‘হাররাত রাহাত’-এর অগ্ন্যুৎপাতের প্রায় ৩ মাস পর ১২৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ২২ সেপ্টেম্বর (১ রমজান, ৬৫৪ হিজরি) মসজিদে নববিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। মসজিদে নববি-এর উত্তর-পশ্চিম কোণের তৈলের বাতি থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে মসজিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আগুনের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের দেওয়ালের কিছু অংশ ধসে পড়ে এবং পূর্বের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিনারটি ধ্বংস হয়ে যায়।
৯ম সংস্কার
বিজ্ঞাপন
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ৩৯তম আব্বাসিয় খলিফা আল-মুসতাসিম বিল্লাহ
সময়: ১২৫৬-১২৬৯ খ্রিষ্টাব্দ (৬৫৪-৬৬৭ হিজরি)
বিবরণ: ১২৫৬ খ্রিষ্টাব্দে (৬৫৪ হিজরি) অগ্নিকাণ্ডের ফলে মসজিদে নববি-এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তখন ৩৯তম এবং সর্বশেষ আব্বাসিয় খলিফা আল-মুসতাসিম বিল্লাহ (শাসনকাল: ১২৪২-১২৫৮ খ্রি.) মসজিদে নববি-এর সংস্কারের জন্য বাগদাদ থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও শ্রমিক পাঠান। তবে হালাকু খান কর্তৃক বাগদাদ দখলের কারণে ঐ বছরই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার এই সংস্কার কাজ ৪র্থ মামলুক সুলতান আল মালিক আল জহির রুকন আল দিন বাইবার্স (শাসনকাল: ১২৬০-১২৭৭ খ্রি./ ৬৫৮-৬৭৫ হি.) সমাপ্ত করেন। এই সময় মসজিদে নববি-এর আয়তন বাড়ানো হয়নি। তবে হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের কিছু সংস্কার কাজ করা হয়। এসময় হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের চারপাশে একটি বেষ্টনী তৈরি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
১০ম সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ৭ম মামলুক সুলতান আল-মনসুর কালাওয়ান
সময়: ১২৭৯ খ্রিষ্টাব্দ (৬৭৭ হিজরি)
বিজ্ঞাপন
বিবরণ: ৭ম মামলুক সুলতান আল-মনসুর কালাওয়ান (শাসনকাল: ১২৭৯-১২৯০ খ্রি.) ১২৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের উপরের গম্বুজটি তৈরি করেন। ইতঃপূর্বে আল্লাহ্র রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের উপরে কোনো গম্বুজ ছিল না। গম্বুজটি কাঠ দ্বারা তৈরি করা হয়। প্রথমে গম্বুজটির কোনো রং ছিল না। পরবর্তীতে একে প্রথমে সাদা এবং পরে নীল রং করা হয়। তিনি মসজিদে নববি-এর পশ্চিম দেওয়ালে অবস্থিত প্রবেশদ্বার বাবে সালাম-এর বাইরে নামাজিদের ওজু করার জন্য একটি ঝরনা নির্মাণ করেন।
১১তম সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ১৪তম মামলুক সুলতান আন-নাসির মুহাম্মদ
বিজ্ঞাপন
সময়: ১৩২৮ খ্রিষ্টাব্দ (৭২৯ হিজরি)
বিবরণ: ১৪তম মামলুক সুলতান, আন-নাসির মুহাম্মদ (শাসনকাল: ১৩১০-১৩৪১ খ্রি.) ১২৫৬ খ্রিষ্টাব্দে (৬৫৪ হিজরি) সংঘটিত ১ম অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে নববি-এর মিনারটি পুনরায় নির্মাণ করেন এবং মসজিদের পূর্ব ও পশ্চিম ছাদের ২টি গম্বুজ বর্ধিত করেন।
মসজিদে নববিতে ২য় অগ্নিকাণ্ড [১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দ (৮৮৬ হিজরি)]
১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর (১৩ রমজান, ৮৮৬ হিজরি) রাতে মসজিদে নববি-তে ২য় বারের মতো এক ভয়ানক অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। সেই রাতে আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন এবং ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। এশার সময় মসজিদে নববি-এর তৎকালীন মুয়াজ্জিন শামসুদ্দিন বিন খতিব আজান দেওয়ার জন্য মসজিদের দক্ষিণ-পূর্ব মিনারে ওঠেন। ঠিক সেসময় ঐ মিনারে এক ভয়ংকর বজ্র আঘাত হানে। প্রচণ্ড বজ্রপাতে সাথে সাথে মিনারটি ধ্বংস হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং মুয়াজ্জিন তৎক্ষণাৎ ইন্তেকাল করেন। মুহূর্তের মধ্যে সমগ্র মসজিদে নববি-তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আশপাশের বাড়িঘর সমূহেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মদিনার অধিবাসীগণ দ্রুত মসজিদে নববি-তে ছুটে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এই অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ করে।
১২তম সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ৪৭তম মামলুক সুলতান সাইফুদ্দিন আল-আশরাফ কাইতবে
সময়: ১৪৮১-১৪৮৫ খ্রিষ্টাব্দ (৮৮৬-৮৯০ হিজরি)
বিবরণ: ১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর (১৩ রমজান, ৮৮৬ হিজরি) রাতে ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডে মসজিদে নববি-এর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এই ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডের পর মদিনাবাসীরা মসজিদে নববি-এর সংস্কারের আবেদন জানিয়ে ৪৭তম মামলুক সুলতান সাইফুদ্দিন আল-আশরাফ কাইতবে (শাসনকাল: ১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রি.)-এর নিকট চিঠি প্রেরণ করেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মসজিদে নববি-কে নতুনভাবে নির্মাণের জন্য, সুলতান আশরাফ কাইতবে বহু শ্রমিক ও যন্ত্রপাতি-সহ তার কর্মচারী আমির সানকার আল জাবলি-কে মদিনায় প্রেরণ করেন। তিনি মসজিদের ২টি ছাদকে একত্রিত করে ১টি ছাদে রূপান্তর করেন। ছাদটি কাঠ ও ইট দ্বারা তৈরি করা হয় এবং ছাদের উচ্চতা হয় ৩৩ ফুট। মসজিদ ভবনের স্তম্ভগুলো কালো পাথর ও লোহা দিয়ে নির্মাণ করা হয়। ১৪৮৩ খ্রিষ্টাব্দে (৮৮৮ হিজরি) ছাদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণে হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের উপরে নির্মিত কাঠের গম্বুজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি এই গম্বুজটি কংক্রিট ও সীসার পাত দ্বারা পুনঃনির্মাণ করেন। তিনি হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের দেওয়াল মার্বেল পাথর দ্বারা সুসজ্জিত করেন এবং কাঠের বেষ্টনীর পরিবর্তে পিতলের বেষ্টনী নির্মাণ করেন। বর্তমানে যে মেহরাব-এ দাঁড়িয়ে ইমাম নামাজ আদায় করেন, সেই মেহরাবটি তিনিই নির্মাণ করেন। তিনি মসজিদের পূর্ব দিকে প্রায় ১,২৯২ বর্গফুট আয়তন বৃদ্ধি করেন। ফলে সংস্কারের পর মসজিদের আয়তন দাঁড়ায় ১,২৩,৫৪০ বর্গফুট। এই নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৪৮৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৯০ হিজরি)। এই সংস্কারকার্যে সুলতান কাইতবে ৬০,০০০ মিশরিয় গিনি খরচ করেন।
১৩তম সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ১০ম উসমানিয় সুলতান ১ম সুলেমান
সময়কাল: ১৫২০-১৫৬৬ খ্রিষ্টাব্দ (৯২৬-৯৭৩ হিজরি)
বিবরণ: ১০ম উসমানিয় সুলতান প্রথম সুলেমান (শাসনকাল: ১৫২০-১৫৬৬ খ্রি./৯২৬-৯৭৩ হি.) মসজিদে নববি-এর উত্তর-পূর্ব দিকে ‘সুলাইমানিয়া মিনার’ তৈরি করেছিলেন। তিনি মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে অবস্থিত ‘বাবে রহমত’-নামক প্রবেশদ্বার থেকে সুলাইমানিয়া মিনার পর্যন্ত পুনর্নির্মাণ করেন। তিনি এসময় বাবে রহমত প্রবেশদ্বারকেও সৌন্দর্যমণ্ডিত করেন এবং হযরত রাসুল (সা.)-এর ব্যবহৃত মিম্বর শাফিয়া-এর নিকটে ‘আনাফ’ নামে নতুন একটি মিম্বর স্থাপন করেন।
১৪তম সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ১১তম উসমানিয় সুলতান ২য় সেলিম
সময়: ১৫৭২ খ্রিষ্টাব্দ (৯৮০ হিজরি)
বিবরণ: ১১তম উসমানিয়য় সুলতান ২য় সেলিম (শাসনকাল: ১৫৬৬-১৫৭৪ খ্রি.) ১৫৭২ খ্রিষ্টাব্দে হযরত রাসুল (সা.)-এর মিম্বর থেকে পশ্চিম দিকে এবং মূল মসজিদ থেকে পৃথকভাবে একটি মেহরাব নির্মাণ করেন।
১৫তম সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ১২তম উসমানিয় সুলতান তৃতীয় মুরাদ
সময়: ১৫৭৪-১৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দ (৯৮১-১০০৩ হিজরি)
বর্তমানে যে মিম্বরটি ব্যবহৃত হয় তা ১২তম উসমানিয় সুলতান তৃতীয় মুরাদ (শাসনকাল: ১৫৭৪-১৫৯৫ খ্রি./৯৮১-১০০৩ হি.) নির্মাণ করেন।
সৌদি বাদশাহ কর্তৃক হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের অলঙ্কার হরণ
সৌদি আরবের বাদশাহ সৌদ বিন আবদুল আজিজ বিন মুহাম্মদ (শাসনকাল: ১৮০৩-১৮১৪ খ্রি.) ওহাবি মতাবলম্বী ছিল। ১৮০৫ সালে তার নির্দেশে মদিনায় অবস্থিত আহলে বাইত ও সাহাবায়ে কেরামের রওজা শরীফের অবকাঠামো (ওহভৎধংঃৎঁপঃঁৎব) ভেঙে ফেলে। শুধু হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকের উপর নির্মিত গম্বুজ তাদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছিল। তবে এসময় তারা হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারকে খচিত স্বর্ণ ও রত্নালংকার লুটে নেয়।
১৬তম সংস্কার
উদ্যোগ গ্রহণকারী: ৩০ তম উসমানিয়য় সুলতান ২য় মাহমুদ
সময়: ১৮১৭-১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দ (১২৩৩-১২৫২ হিজরি)
বিবরণ: ১৮১৭ খ্রিষ্টাব্দে (১২৩৩ হিজরি) ৩০তম উসামনিয় সুলতান ২য় মাহমুদ (শাসনকাল: ১৮০৮-১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দ) মসজিদে {বাকী অংশ আগামী সপ্তাহে}
লেখক: ইমাম ড. সৈয়দ এ. এফ. এম. মঞ্জুর-এ-খোদা








