মিয়ানমার সংঘাত
বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের ১৭৫ বিজিপি সদস্য
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, ১২ই মার্চ ২০২৪

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে আবারও একদিনে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপির ১৭৫ সদস্য। এর মধ্যে সোমবার বেলা ১২ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের জামছীড়স্থ ৪৫-৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ২৯ সদস্য পালিয়ে আসে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে আরও ১৪৬ জন। ফলে একদিনে ১৭৫ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার (১১ মার্চ) রাত ৯ টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সোমবার পুরোদিন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তি দিয়ে ১৭৫ জন মিয়ানমার বিজিপির সদস্য পালিয়ে এসেছে। এর মধ্যে দুপুরে ২৯ জন, সন্ধ্যার পর আরও ১৪৬ জন পালিয়ে এসেছে। এদের অস্ত্র জমা দানের পর বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন ২৯ বিজিপি সদস্য
এব্যাপারে বিজিবির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যদিও এদিন বেলা ১২ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের জামছীড়স্থ ৪৫-৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে এই ২৯ সদস্য পালিয়ে আসে। এদের বাংলাদেদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবির হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
এর আগে তিনি দুপুর ২ টা ৩৬ মিনিটে জানিয়েছেন, বিজিবি'র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে রেখেছে।
এর আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনা সহ ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বিজিপি সহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
এদিকে, মিয়ানমারের চলমান ষংঘাতের জের ধরে ছোঁড়া গুলিতে এবার বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাবের আহমদ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হলো
সোমবার বিকাল ৪টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নে সীমান্ত জামছড়ি মসজিদের কাছে লোকজন জড়ো হলে সেখানে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলিতে তিনি আহত হন বলে নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেবি/এজে
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন জিরুনা ত্রিপুরা

ত্রিপুরা সনাতনী গীতা সংঘের উদ্যোগে গীতা ও নৈতিক শিক্ষা বেসিক প্রশিক্ষণ

প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত: জিরুনা ত্রিপুরা

খাগড়াছড়িতে তিনদিন ব্যাপী জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন
