ডাকসু নির্বাচন: সিনেট ভবনে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ স্লোগান দিল ছাত্রদল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৩ পিএম, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দেয়। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত একটি সভা চলাকালে সেখানে প্রবেশ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
তারা ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের মুখোমুখি হয়ে প্রশাসনকে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ বলে স্লোগান দিলে সভাকক্ষে হট্টগোলের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ভিপি প্রার্থী আবিদুল
ছাত্রদলের অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ক্যাম্পাসে বহিরাগত জামায়াত-শিবির কর্মীদের জড়ো করা হয়েছে। উপাচার্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও ছাত্রদল তা মানতে নারাজ ছিল।
একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় টেবিল চাপড়ে উপাচার্যকে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ আখ্যা দেন। জবাবে উপাচার্য স্পষ্ট করে জানান, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা সম্পর্কে যা জানা গেল
পরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাকে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ ঘোষণা করছি। যদি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন, তাহলে ছাত্রদল আর কোনো সহযোগিতা করবে না।”
এদিকে একই দিন ভোটগ্রহণ শেষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তোলেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের শুরু হয়েছে ভোটগণনা
তিনি বলেন, “অমর একুশে হলে গিয়ে কারচুপির প্রমাণ পেয়েছি, রোকেয়া হলেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। সকাল থেকে আমাদের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে সকালে বড় ধরনের প্রোপাগান্ডা চালানো হয়, যেখানে মূলধারার মিডিয়া বিভ্রান্ত হয়েছিল। পরে সংশোধনী দেওয়া হলেও নির্বাচনী কর্মকর্তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন আবিদুল।
এএস